পাতা:রামায়ণ - কিষ্কিন্ধাকাণ্ড (হেমচন্দ্র ভট্টাচার্য্য).pdf/৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সপ্তম সর্গ। তখন সুগ্ৰীব রামের এইরূপ কাতরোক্তি শ্রবণ পূর্বক কতাঞ্জলি হইয়া গদগদকণ্ঠে কহিতে লাগিলেন, রাম ! আমি সেই রক্ষসের গুপ্তনিবাস কোথায়, জ্ঞাত নহি, কিন্তু তাহার বল বিক্রম এবং সেই দুস্কলের কুল সমস্তই জানি । এক্ষণে তুমি শোক পরিত্যাগ কর , সত্যই কহিতেছি,জানকী যেরূপে তোমার হস্তগত হন, তাহাই করিব । আমি তুষ্টিকর পুৰুষকার অবলম্বন পূর্বক রাবণকে সগণে সংহার করিয়া, যাহাতে তুমি প্রীত হইতে পার, অচিরাৎ তাহাই করিব। এক্ষণে তুমি আর বিহ্বল হইওনা, ধৈর্য্য অবলম্বন কর । এইরূপ বুদ্ধিলাঘব ভবাদৃশ লোকের শোভা পায় না । দেখ, আমিও স্ত্রাবিরহজনিত বিপদে পড়িয়াছি, কিন্তু আমি সামান্য বানর, তথাচ এইরূপে শোক করি না, এবং ধৈর্য্যও ধারণ করিতেছি । রাম ! তুমি মহাত্মা বিনীত সুধীর ও মহৎ, তুমি যে প্রবোধ পাইবে, ইহার আর বৈচিত্র কি । তোমার নয়ন যুগল হইতে দরদরিত ধারে অশ্রু বহিতেছে, ধৈর্য্যবলে সংবরণ কর । ধৈর্ষ্য সাত্বিকের মর্য্যাদাস্বরূপ , ইহা । ত্যাগ করিও না । যিনি সুধীর, বিপদ অর্থকষ্ট এবং প্রাণসঙ্কট