পাতা:রামায়ণ - কিষ্কিন্ধাকাণ্ড (হেমচন্দ্র ভট্টাচার্য্য).pdf/৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কিস্কিন্ধাকাণ্ড । ףכא করিতে তাহার অত্যন্তই যত্ন, তজ্জন্য সে অনেক বার বানর সকল প্রেরণ করিয়াছিল, আমিও উহাদিগকে বধ করি । বলিতে কি, তুমি যখন আইস, তখন তোমায় দর্শন করিয়া অামি শঙ্কণক্ৰমে অগ্রসর হইতে সাহসী হই নাই । দেখ, লোক অলপ ভয়েও ভীত হইয়া থাকে । এক্ষণে কেবল হনুমান প্রভৃতি বানরেরা অামার সহায় । আমি কষ্টে পড়িয়াও ইহাদের গুণে প্রাণ ধারণ করিয়া আছি । এই স্নেহাৰ্দ্ৰ বানরগণ সৰ্ব্বত্র অামায় রক্ষা করিতেছে । ইহারা, আমি যাইলে যায় এবং বসিলে বৈসে । সখে ! এক্ষণে তোমায় অধিক আর কি কহিব, সত্ত্বেপে এইমাত্র জানিও, যে প্রখ্যাতপৌৰুষ বালীকে বধ করিলেই আমার বর্তমান দুঃখ তিরোহিত হইবে । তাহার বিনাশে আমার জীবন ও মুখ সম্পূর্ণ নির্তর করিতেছে । রাম ! অামি শোকার্ত হইয়া শোকনাশের উপায় তোমায় কহিলাম । তুমি সুখী হও বা দুঃখে থাক, আমাকে এক্ষণে আশ্রয় দশন করিতে হইবে । রাম কহিলেন, সুগ্ৰীব ! বালীর সহিত তোমার এইরূপ শক্রতা জন্মিবার কারণ কি ? যথার্থত শুনিতে ইচ্ছা করি। আমি ইহণ শ্রবণ পূর্বক উভয়ের বলাবল ও কৰ্ত্তব্য অবধারণ করিয়া, যাহাতে তুমি মুখী হও করিব । তোমার অবমাননায় আমার অত্যন্ত ক্রোধ হইয়াছে এবং বর্ষাকালে জলবেগ যেমন প্রবল হয়,