পাতা:রামায়ণ - কিষ্কিন্ধাকাণ্ড (হেমচন্দ্র ভট্টাচার্য্য).pdf/৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

89. রামায়ণ | সেই রণপণ্ডিত তোমার সহিত স্বস্বযুদ্ধ করিবে। এক্ষণে যদি তোমার ইচ্ছা হয়, তবে শীঘ্র তাহার নিকট গমন কর । সে যুদ্ধবীর এবং তাহার বীর্য একান্তই দুঃসহ। তখন দুদুভি এই কথা শুনিয়া অতিশয় ক্রোধাবিষ্ট হইল এবং তীক্ষশৃঙ্গ অতিভীষণ মহিষমূৰ্ত্তি ধারণ করিয়া, বর্ষাকালে গগণতলে জলপূর্ণ মহামেঘের ন্যায় কিষ্কিন্ধার অভিমুখে চলিল । সে উহার পুরস্কারে উপস্থিত হইয়া ভূবিভাগ কম্পিত করত দুন্দুভির ন্যায় নিনাদ করিতে লাগিল। কখন নিকটের বৃক্ষ ভগ্ন ও চূৰ্ণ করিতে প্রবৃত্ত হইল, কখন খুরপ্রহারে ধরাতল বিদীর্ণ করিয়া ফেলিল এবং কখন বা মাতঙ্গের ন্যায় সদৰ্পে শূঙ্গ দ্বারা দ্বারদেশ খুড়িতে লাগিল। তৎকালে বালী অন্তঃপুরে ছিলেন। তিনি উহার বীরনাদ সহিতে না পারিয়া তৎক্ষণাৎ তারাগণের সহিত চন্দ্রের ন্যায় স্ত্রীগণ সমভিব্যাহারে নিষ্ক্রান্ত হইলেন। বনচর বানরগর্শের অধীশ্বর বহির্গভু হইয়া দুদুভিকে সুস্পষ্ট ও পরিধিস্ত কথায় কৰিলেন, মহাবল ! তুমি কি নিমিত্ত পুরস্কার । রোধ করিয়া সিংহনাদ করিতেছ? আমি তোমাকে চিনিতে পারিয়াছি । এক্ষণে পলায়ন কর। তখন দুন্দুভি এই কথা শুনিয়া রোষরক্তনেত্ৰে কহিতে লাগিল, বীর! তুমি স্ত্রীলোকের সমক্ষে কিছু কৰিও না । অদ্য আমার সহিত যুদ্ধে প্রবৃত্ত হও, পরে তোমার বল বুঝিতে