পাতা:রামায়ণ - কিষ্কিন্ধাকাণ্ড (হেমচন্দ্র ভট্টাচার্য্য).pdf/৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( Հ রামায়ণ | প্রবেশাধিকার নাই জানিয়া, আমি সহচরগণের সহিত প্রফুল্লমনে এই অরণ্যে বিচরণ করিতেছি । রাম! ঐ দেখ বলদৰ্পে নিহত দুন্দুভির শৈলশিখরাকার কঙ্কাল সকল দেখা যায় । এই শাখাপ্রশাখাযুক্ত সুদীর্ঘ সাতটি তাল বৃক্ষ। মহাবল বালী সমকালেই ইহাদিগকে কম্পিত করিয়া পত্রশূন্য করিতে পারেন । সখে ! এই অামি র্তাহার অসাধারণ বল বীর্যের পরিচয় দিলাম। এক্ষণে তুমি কিরূপে যুদ্ধে ভঁাহাকে বিনাশ করিতে পারিবে, বল । তখন লক্ষণ ঈষৎ হাস্য করিয়া কহিলেন, সুগ্ৰীব ! কি হইলে তোমার বালিবধে বিশ্বাস হইবে? সুগ্ৰীব কহিলেন, পূৰ্ব্বে মহাবীর বালী এক এক সময় অনেক বার এই সাতটি তাল ভেদ করিয়াছিলেন। এক্ষণে যদি রাম এক শরে ইহার একটিকে বিদ্ধ করিতে পারেন এবং যদি এই মৃত মহিষের অস্থি এক পদে উত্তোলন পূর্বক বেগে দুই শত ধনু নিক্ষেপ করিতে সমর্থ হন, তাহা হইলে বুঝিব, বালী নিশ্চয়ই নিহত হইবে । সুগ্ৰীব লোহিতপ্রান্ত লোচনে এই বলিয়া ক্ষণ কাল চিন্তা করত পুনরায় কহিলেন, দেখ, বালী বীর ও শূরাভিমানী । তাহার বল ও পৌৰুষের কথা সৰ্ব্বত্রই প্রচার অাছে। সে দুর্জয় দুৰ্দ্ধৰ্ষ ও দুঃসহ । উহার কার্য্য দৈবেরও অসাধ্য দেখা যায় । এক্ষণে অামি এই সকল ভাবিয়া, অত্যন্ত ভীত হই