পাতা:রামায়ণ - কিষ্কিন্ধাকাণ্ড (হেমচন্দ্র ভট্টাচার্য্য).pdf/৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কিষ্কিন্ধাকাণ্ড । No) যাইতেছে । বন মধুগন্ধে সুবাসিত, উহাতে ভ্রমরগণ ঝঙ্কার করিতেছে। শিখরোপরি রমণীয় বৃক্ষে পুষ্পবিকাশ নিৰন্ধন পৰ্ব্বত যেন শিরোভূষণ বহিতেছে । কণিকার সকল পুম্পিত হইয়াছে এবং স্বর্ণালঙ্কারযুক্ত পীতাম্বরধারী মনুষ্যের ন্যায় অপূৰ্ব্বত্র ধারণ করিয়াছে । বৎস ! আমি জানকীবিহীন, এক্ষণে বসন্তু আমার শোক উদ্দীপন এবং অনঙ্গও যার পর নাই সস্তুপ্ত করিতেছেন । ঐ শুন, কোকিল হর্ষভরে কুহুরব করিয়া যেন আমাকে ডাকিতেছে । আমি কামাওঁ, ঐ মুরম্য প্রস্রবণে দাতুহে পক্ষী মধুর ধ্বনি করিয়া, আমাকে শোকাকুল করিয়া তুলিতেছে । হা ! পূৰ্ব্বে জানকী আশ্রমমধ্যে ইহারই সঙ্গীত শুনিয়া, পুলকিতমনে আমাকে আহ্বান পূর্বক কতই হর্ষপ্রকাশ করিতেন । ঐ দেখ, কাননমধ্যে পক্ষী সকল বিভিন্ন স্বরে কোলাহল করিয়া চারি দিক হইতে বৃক্ষে গিয়া বসিতেছে । এই পম্পীতীরে বিহগমিথুন স্ব স্ব জাতিতে সন্নিবিষ্ট ও হৃষ্ট হইয়া, দলে দলে ভৃঙ্গবৎ মধুর শব্দ করিয়া সঞ্চরণ করিতেছে । এই সমস্ত বৃক্ষ দাত্যুহের রতিজন্য রবে এবং পুংস্কোকিলের বিরাবে যেন স্বয়ং শব্দ করিয়া, আমার চিত্ত বিকৃত করিয়া দিতেছে । বৎস! এক্ষণে এই বসন্তুরূপ অনল আমায় দগ্ধ করিতে লাগিল ৷ অশোকস্তবক উহার অঙ্গার, ভূঙ্গরব শব্দ এবং পল্লবই আরক্ত শিখা ৷ লক্ষণ! আমি সেই স্থক্ষপ ক্ষযুক্তনয়ন মুকেশী মৃদুভাষিণী