পাতা:রামায়ণ - কিষ্কিন্ধাকাণ্ড (হেমচন্দ্র ভট্টাচার্য্য).pdf/৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কিষ্কিন্ধাকাণ্ড । «ግ কিছুই তাহার হৃদ্বোধ হইল না এবং তিনি প্রাণান্তকর শর ত্যাগেও বিরত রহিলেন । - এই অবসরে সুগ্ৰীব বালীর নিকট পরাস্ত হইলেন এবং রাম রক্ষণ করিলেন না বুরিয়া, ঋষ্যমূকাভিমুখে পলায়ন করিতে লাগিলেন । বালী ক্রোধাবিষ্ট হইয়া উহার অনুসরণে প্রবৃত্ত হইলেন । সুগ্ৰীব প্রহারবেগে জর্জরীভূত ও একান্তই পরিশ্রান্ত, তিনি রক্তাক্ত দেহে এক গহন বনে প্রবেশ করিলেন । তদর্শনে মহাবীর বালী “তুই রক্ষণ পাইলি" এই বলিয়া শাপতয়ে তথা হইতে প্রতিনিবৃত্ত হইলেন । অনন্তর রাম, লক্ষণ ও হনুমানের সহিত যথায় মুগ্রীব সেই বনে উপস্থিত হইলেন । ঐ সময় সুগ্ৰীব বিলক্ষণ লজ্জিত, তিনি রামকে নিরীক্ষণ করিয়া অধোমুখে দীনবাক্যে কহিলেন, রাম ! তুমি অামায় বিক্রম দেখাইলে, বালীকে আহ্বান করিতে বলিলে, পরে শক্রর প্রহারও সহ করাইলে, এ তোমার কিরূপ ব্যবহার ? অামি বালীকে বধ করিব না এবং এস্থান হইতেও যাইব না, তখনই এইরূপ সটীক কথা বলা তোমার উচিত ছিল । তখন রাম সুগ্ৰীবকে প্রবোধ বাক্যে কহিলেন, সখে ! ক্রোধ করিও না । আমি যে কারণে শর ত্যাগ করি নাই, শুন । তুমি ও বালী, ভোমরা উভয়েই দেহপ্রমাণ ও বেশে সমান ছিলে । আমি তৎকালে গতি, কাস্তি, স্বর, দৃষ্টি ও বিক্রমে তোমাদের [b