পাতা:রামায়ণ - কিষ্কিন্ধাকাণ্ড (হেমচন্দ্র ভট্টাচার্য্য).pdf/৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Յ:Ե- রামায়ণ । কিছুই প্রভেদ পাইলাম না এবং এইরূপ সোসাদৃশ্বে একাত্ত মোহিত ও অত্যন্ত শঙ্কিত হইয়ণ, প্রাণান্তুকর ভীষণ শর পরিত্যাগ করিলাম না ! পাছে আমাদিগের মূলে অাষাত হয়, অামার মনে এই সন্দেহই হইয়াছিল । অামি না জানিয়া, চপলত বশত তোমাকে বিনাশ করিলে, লোকে আমাকেই মুখ ও বালক জ্ঞান করিত। অারও শরণাগতকে বধ করা একটা মহাপাতক । সখে ! অধিক আর কি, আমি, লক্ষণ ও জানকীর সহিত তোমারই আশ্রয়ে আছি । এই অরণ্য মধ্যে তুমিই আমাদিগের গতি । এক্ষণে পুনর্বার গিয়া নিৰ্ভয়ে দ্বন্দ্বযুদ্ধে প্রবৃত্ত হও । তুমি এই মুহূর্তেই দেখিবে, বালী সমরে আমার একমাত্র শরে নিরস্ত হইয়া ভুতলে লুষ্ঠিত হইতেছে। অতঃপর তুমি যুদ্ধক্ষেত্রে অবতীর্ণ হইলে, আমি যাহাতে তোমায় চিনিয়া লইতে পারি, এক্ষণে এইরূপ কোন এক চিন্তু ধারণ কর, লক্ষণ! তুমিঐ সুলক্ষণ বিকসিত নাগপুপী লতা উৎপাটন পূর্বক সুগ্ৰীবের কণ্ঠে সংলগ্ন করিয়া দেও ! অনন্তর লক্ষণ শৈলতট হইতে কুসুমিত নাগপুপী লতা আনিয়া সুগ্ৰীবের কণ্ঠে বন্ধন করিলেন । তখন, সন্ধ্যারাগরঞ্জিত মেঘ যেমন বকপংক্তিতে শোভিত হয়, সুগ্ৰীব ঐ লতাপ্রভাবে সেইরূপ শোভা ধারণ করিলেন এবং রামের বাক্যে উৎসাহিত্ত হইয়।,উাছার সছিত কিষ্কিন্ধায় গমন করিতে অভিলাষী হইলেন ।