পাতা:রামায়ণ - কিষ্কিন্ধাকাণ্ড (হেমচন্দ্র ভট্টাচার্য্য).pdf/৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কিষ্কিন্ধাকাণ্ড । \No v$ নক্ষত্ৰবেষ্টিত হুর্য্যের ন্যায় সমধিক শোভা পাইতেছ। এক্ষণে তোমার সেই ভ্রাতৃরূপী শত্রু আমায় দেখাইয়া দেও । আজ আমি একমাত্র শরে তোমা হইতে তাহার ভয় ও শক্ৰতা দূর করিব । সে আমার দৃষ্টিপথে পড়িবাযাত্র বিনষ্ট হইয়া এই অরণ্যের ধুলিতে লুণ্ঠিত হইবে। যদি বালী আমার নেত্রগোচর হইয়াও প্রাণসত্তে নিবৃত্ত হয়, তুমি আমাকে দোষী করিও এবং তদণ্ডে অামার নিন্দশও করিও । দেখ, আমি তোমার সমক্ষে এক শরে সপ্ত তাল ভেদ করিলাম, ইহাতেই বুঝিবে, আদ্য বালী আমার হস্তে যুদ্ধে বিনষ্ট হইয়াছে । আমি প্রাণ সঙ্কটেও মিথ্যা কহি নাই এবং ধৰ্ম্মলাভ লোভেও কখন কহিব না । সুতরাং তুমি ভয় দূর কর । আমি নিশ্চয়ই কহিতেছি, প্রতিজ্ঞা পূর্ণ করিব । ইন্দ্র যেমন বৃষ্টি দ্বারা অঙ্ক রিত ধান্যক্ষেত্র ফলবৎ করেন, তদ্রুপ আমি প্রতিজ্ঞ সফল করিব । এক্ষণে সেই স্বর্ণহারশোভিত বালী যাহাতে নিষ্কান্ত হয়, তুমি এইরূপে গৰ্জ্জন কর । বালী নির্ভয় জয়গর্বিত ও সমরপ্রিয়, তুমি তাহাকে আহ্বান করিলে, সে স্ত্রীর সংশ্রব ত্যাগ করিয়া অন্তঃপুর হইতে নিশ্চয়ই বহির্গত হইবে। দেখ, বীরের শক্ত অবনীননা কখন সম্ভ করে না, বিশেষত যে আপনাকে প্রকৃত বীর বলিয়া জানে, সে স্ত্রীর নিকট কদাচই ভাহা সহিতে পারিবে না । অনন্তর স্বর্ণপিঙ্গল সুগ্ৰীব কঠোর শব্দে আকাশ ভেদ করতই