পাতা:রামায়ণ - কিষ্কিন্ধাকাণ্ড (হেমচন্দ্র ভট্টাচার্য্য).pdf/৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সপ্তদশ সর্গ। স্বর্ণালঙ্কারশোভিত বালী দেহ প্রসারণ পূর্বক ছিন্ন বৃক্ষের ন্যায় ভূতলে পতিত হইলে, কিষ্কিন্ধা শশাঙ্কহীন আকাশের ন্যায় মলিন হইল । উহার কণ্ঠে ইন্দ্রদত্ত রত্নখচিত স্বর্ণহার, উহার প্রভাবে তখনও তাহার দেহকাত্তি, প্রাণ, তেজ ও পরাক্রম পরি ত্যাগ করে নাই । যে মেঘের প্রাস্তভাগ সন্ধ্যারাগে রঞ্জিত হইয়াছে, ঐ মহাবীর ঐ স্বর্ণহার দ্বারা তাহারই ন্যায় শেভিত হইতে লাগিলেন। তৎকালে তাহার মালা, দেহ ও মৰ্ম্মঘাতী শর এই তিন স্থানে শ্ৰী যেন বিভক্ত হইয়া রহিল । রামনির্মুক্ত স্বর্গসাধন শর হইতে র্তাহার পরম গতি লাভ হইল । ঐ সময় তিনি নিৰ্ব্বাণোন্মুখ অগ্নির ন্যায় সমরাঙ্গনে পতিত ; যেন রাজা যযাতি পুণ্যক্ষয় হওয়াতে দেবলোক হইতে ভ্ৰষ্ট হইয়াছেন । কালই যেন প্রলয়কালে স্থৰ্য্যকে ভূতলে নিক্ষেপ করিয়াছেন । বালী ইন্দ্রের ন্যায় দুঃসহ । তাহার বক্ষ বিশাল, বাহু আজানুলম্বিত, মুখ উজ্জ্বল ও নেত্র হরিদ্বর্ণ। রাম, লক্ষমণ সমভিব্যাহারে র্তাহাকে দেখিতে লাগিলেন এবং বহুমান পূর্বক মৃদুপদে র্তাহার সন্নিহিত হইলেন ।