পাতা:রামায়ণ - কিষ্কিন্ধাকাণ্ড (হেমচন্দ্র ভট্টাচার্য্য).pdf/৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

একবিংশ সর্গ। অনন্তর যুথপ্রধান হনুমান ভারীকে গগনস্থলিত তারকার ন্যায় ভূতলে নিপতিত দেখিয়া মৃদুবাক্যে কহিতে লাগিলেন, রাজমহিৰ্ষি ! জীব স্বীয় গুণদোষে পুণ্যপাপীজনক যে যে কৰ্ম্ম করে, দেহান্তে ব্যগ্র না হইয়া ভাছার ফলাফল ভোগ করিয়া থাকে। তুমি স্বয়ং শোচনীয়, কিন্তু বল, কোন্‌ শোকাহ ব্যক্তির জন্য শোক করিতেছ ? তুমি নিজেই দাম, কিন্তু কোন দীনের প্রতি দয়া করিতেছ? জানি না, এই জলবিম্বপ্রায় দেহে কে কাছার জন্য দুঃখিত হইতে পারে । জীবিতপুত্রে! এক্ষণে তুমি এই কুমার অঙ্গদকে দেখ, এবং বালীর দেহান্তে কি কৰ্ত্তব্য, তাছাই চিন্তু কর । জানই ত, এই জীবলোকে জীবের জন্মমৃতু্য এইরূপ অব্যবস্থিত, সুতরাং পতিপুত্রবিয়োগে যাছা শুভ তাছাই করিবে, শোক করা নিতান্তই অনুচিত । র্যাহার সন্নিধানে বহুসংখ্য বানর, নান অtশয়ে কাল যাপন করিত, আজ তিনিই প্রাণত্যাগ করিলেন । এই বীর নীতিনির্দিষ্ট প্রণালীক্রমে রাজকাৰ্য্য করিয়াছেন এবং সাম দান ক্ষমা প্রভৃতি রাজগুণে ভূষিত ছিলেন, এক্ষণে ইহার রাজলোক লাভ হইল, সুতরাং ইহঁর জন্য আর শোক