পাতা:রামেন্দ্রসুন্দর রচনাসমগ্র প্রথম খণ্ড.djvu/১০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

3 е е রামেন্দ্রসুন্দর রচনাসমগ্র কি, রাম , হু মি , হ ের (=হ রি আ) প্রভৃতির আ-কার ক্ষুদ্রার্থ ক' বা অবজ্ঞাবাচী ক’ হইতে উৎপন্ন। ম t টি য় , বা লি য় ! প্রভৃতি শব্দ এবং জঙ্গ লি য় । প্রভৃতি শব্দ এক পর্যায়ে ফেলা চলিবে না। মা টি ও বা লি, ইহাদের ই-কার প্রত্যয়ের ই-কার নহে। মৃত্তি র ই-কার মা টি" তে বর্তমান ; বা লু'র উ-কার বা লিতে ই-কারে পরিণত । কিন্তু জ জলি য়া” র ই-কার প্রত্যয়ের ই-কার ; এবং এই প্রত্যয় ই য়ু 1=ই অ t না লিথিয়া ই+আ লেখাই সঙ্গত। বিশেষ জ ন্স ল হইতে বিশেষণ জ জলি (জঙ্গলবাসী) ; তাহাই আবার স্বার্থে জ ন্স লি আ ; শেষ পরিণতি জ স্কু লে। এখানে আ' বোধ করি ক' হইতে উৎপন্ন। আর যদি সংস্কৃত ই ক ( fষ ক ) হইতে আসিয়া থাকে, তাহা হইলে ই + আ ন হইয়া ই অ৷ হইবে। মা টি য় । বা লি য় । ইহাদের অ’ বিশিষ্টাৰ্থবাচী, স্বাধবাচী নহে ; তাহাদের মূলও সম্ভবতঃ পৃথকৃ। 龟

েদ ন i = যাহা দিতে হইবে

পা ও ন i = যাহা পাওয়া যাইবে থে ল ন i = যাহা দ্বারা থেলা যায় বা ট ন 1=যাহা বাটা যায় বা জ ন i = যাহা দ্বারা বা যাহা বাজান যায় ঢাক ন i = যাহা দ্বারা ঢাকা যায় এই সমুদয়কে এক শ্রেণীতে ফেলা চলিবে না । শেষ শব্দ চারিটির না বোধ করি সংস্কৃত অ ন (=অনট) প্রত্যয়ের সম্পর্ক রাখে। সেখানে প্রত্যয়কে 'ন ’ না বলিয়া ‘অ ন+ অ 1’ বলা উচিত । কিন্তু দে ন । পা ও না র না’ কোথা হইতে আসিল ? শু কৃ না” র না’রও বোধ করি অন্য মূল। ই প্রত্যয়ের নানা অর্থভেদ । নানা অর্থে প্রযুক্ত ই প্রত্যয় বিভিন্ন মূল হইতে উৎপন্ন। আবার ই’ লিখিব, কি ঈ" লিখিব, তাহা লইয়া বিবাদ উপস্থিত। দি দি তে আপত্তি নাই, কিন্তু মা সি লিখিব, কি মা সী লিখিব, মা মি লিখিব, কি মা মণী লিখিব, ইহা লইয়া উভয় পক্ষে বাগ যুদ্ধ উপস্থিত হইয়াছে। এই বিবাদ ক লুনী, ম া লি নদী প্রভৃতির নী'তেও উঠিয়াছে। উভয় পক্ষেই যুক্তি আছে। আমি মীমাংসায় অক্ষম। তবে ন বা বী, মা ষ্ট । রণী, জ মণী দ । রণী, ও কাল তী, প্রভৃতির ট্রকে ই-কারে পরিণত করিবার সময় বোধ হয় যায় নাই। এরূপ দৃষ্ঠান্তে অকারণে ঈ-কারের বোঝা বহিয়া লাভ কি ? খাটি বাঙ্গালায় যখন হ্রস্ব দীর্ঘ উচ্চারণ ভেদ নাই, তখন খাটি বাঙ্গাল লিপিমালায় উহাদের একটাকে বিসর্জন দিলে হানি কি ? বিদ্যাসাগর মহাশয়ের সঙ্কলিত তালিকা দেখিলে বোধ হয় যে, তিনি এইরূপ বিসর্জনের পক্ষপাতী ছিলেন । রৰি বাবু যে সকল প্রত্যয়কে খণ্ড খণ্ড করিয়া দুই তিন ভাগ করিয়াছেন, তাহার কারণ এখন বুঝা যাইবে । কলিকাতার উচ্চারণ বা কোন প্রাদেশিক