পাতা:রামেন্দ্রসুন্দর রচনাসমগ্র প্রথম খণ্ড.djvu/১৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শব্বকথা : বাঙ্গালার প্রথম রসায়ন-গ্ৰন্থ S&? are, in the great majority of instances, perfectly new to the Bengalee language; as they were but a few years ago to all languages. The chief difficulty was to determine, whether the European nomenclature should be merely put into Bengalee letters, or the European terms be entirely translated by Sanskrit, as bearing much the same relation to Bengalee as the Greek and Latin do to the English. * * * I have preferred, therefore, expressing the European terms in Bengalee characters, merely changing the prefixes and terminology, so as decently to incorporate the new words into the language.” কটক কলেজের অধ্যাপক শ্ৰীযুক্ত যোগেশচন্দ্র রায় মহাশয়ের প্রণীত ‘সরল রসায়ন বোধ করি বাঙ্গালী ভাষায় লিখিত রসায়ন সম্বন্ধে শেষ গ্রন্থ । ইহার প্রকাশের তারিখ ১৮৯৮ । এই গ্রন্থেও স্থলতঃ মাকৃ সাহেবেরই প্রবত্তিত প্রণালী অবলম্বিত হইয়াছে। ইংরেজী পারিভাষিক শব্দগুলিকে অক্ষরান্তরিত করিয়া লওয়া উচিত, কি তাহীদের অনুবাদ আবশ্বক, এই কথা লইয়। তর্ক আছে। রসায়নশাস্ত্রে যে হাজার হাজার পারিভাষিক নাম প্রচলিত আছে, তাহাদের অতুবাদের চেষ্টা পণ্ডশ্রম মাত্র। এ বিষয়ে দ্বিরুক্তির সম্ভাবনা নাই। তবে অক্ষরান্তরিত করিবার সময়ে বাঙ্গালীর বাগযন্ত্রের উচ্চারণ-শক্তির প্রতি দৃষ্টি রাখিয় শব্দগুলিকে একটু কাটিয়া ছাটিয়া মোলায়েম করিয়া লইতে হইবে । মাকৃ সাহেব তাহাই করিয়াছেন। ডাক্তার রাজেন্দ্রলাল মিত্রও সেইরূপ কাট-ছাটার পক্ষপাতী ছিলেন। যোগেশ বাবু কোন স্থানেই অনুবাদে সম্মত নহেন ; অক্ষরান্তরিত করিবার সময়ে অধিক কাট-ছাঁটারও পক্ষপাতী নহেন। অন্ততঃ র্তাহার রসায়ন-গ্ৰন্থ দেখিলে সেইরূপই বোধ হয়। বিজ্ঞান-শাস্ত্র মাত্রেরই দুইটা অঙ্গ আছে। একটা অঙ্গ পণ্ডিতদিগের জন্য অর্থাৎ খাটি বৈজ্ঞানিকের জন্য, সে অংশে ইতর সাধারণের প্রবেশাধিকার নাই ; অনধিকারীর পক্ষে সেখানে প্রবেশ করিতে যাওয়া ধৃষ্টতা। বিজ্ঞানের অপর অঙ্গ সাধারণের জন্য। কতকটা বৈজ্ঞানিক জ্ঞান না থাকিলে মামুষের জীবনযাত্রাই আজকাল অচল হইয়া পড়ে। পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, জ্যোতিষ, জীববিদ্যা, ভূবিদ্যা, সকল শাস্ত্রেরই মধ্যে খানিকটা অংশ আছে, যাহা সকলের পক্ষেই জ্ঞাতব্য ; সেইটুকু না জানিলে কেবল যে মুখ বলিয়া সমাজে পরিচিত হইতে হয়, তাহা নহে, সেটুকুর জ্ঞান জীবনরক্ষা ও সংসারযাত্রার জন্যও নিতান্ত আবশ্বক হইয়া পড়িয়াছে। সাধারণ লোককে বিজ্ঞানের এই ভাগের সহিত পরিচিত করা লোকশিক্ষার একটা প্রধান উদ্দেশু। সাধারণের সহিত বিজ্ঞানের এই ভাগের পরিচয় করাইতে হইলে বিজ্ঞানের ভাষাকেও সাধারণের বোধগম্য করিতে হইবে। উৎকট পারিভাষিক-শব্দ-ভীষণ ভাষা পণ্ডিতদের জন্য। সাধারণকে বিজ্ঞান শিখাইতে হইলে পারিভাষিকত্ব যথাসাধ্য বর্জন করিয়া, ভাষাকেও স্বপ্রাব্য ও মোলায়েম না করিলে চলিবে না। তথাপি বিজ্ঞান যখন বিজ্ঞান, তখন উহার পারিভাষিকত্ব কতকটা থাকিবেই। সেই