চরিত-কথা ; ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর دهد ছিলেন। রামায়ণ ও উত্তরচরিতের নায়কের একটা অপবাদ জনসমাজে প্রসিদ্ধ আছে । কোন একটা কিছু ছল পাইলেই রামচন্দ্র কাদিয়া পৃথিবী ভাসাইয়া ফেলেন। বিদ্যাসাগরের জীবনচরিত গ্রন্থের প্রায় প্রতি পাতাতেই দেখিতে পাওয়া যায়, বিদ্যাসাগর র্কাদিতেছেন। বিদ্যাসাগরের এই রোদনপ্রবণতা তাহার চরিত্রের একটা বিশেষ লক্ষণ। কোন দীন দুঃখী আসিয়া দুঃখের কথা আরম্ভ করিতেই বিদ্যাসাগর কাদিয়া আকুল ; কোন বালিকা বিধবার মলিন মুখ দর্শন মাত্রেই বিদ্যাসাগরের বক্ষঃস্থলে গঙ্গা প্রবহমাণ, ভ্রাতার অথবা মাতার মৃত্যুসংবাদ পাইবা মাত্র বিদ্যাসাগর বালকের মত উচ্চৈঃস্বরে কাদিতে থাকেন। বিদ্যাসাগরের বাহিরটাই বজের মত কঠিন, ভিতরটা পুষ্পের অপেক্ষাও কোমল। রোদন ব্যাপার বড়ই গহিত কৰ্ম্ম, বিজ্ঞের নিকট ও বিরাগীর নিকট অতীব নিন্দিত। কিন্তু এইখানেই বিদ্যাসাগরের অসাধারণত্ব ; এইখানেই তাহার প্রাচ্যুত্ত্ব। প্রতীচ্য দেশের কথা বলিতে পারি না , কিন্তু প্রাচ্য দেশে রোদনপ্রবণতা মনুষ্য-চরিত্রের যেন একটা প্রধান অঙ্গ। বিদ্যাসাগরের অসাধারণত্ব এই যে, তিনি আপনার সুখস্বাচ্ছন্দ্যকে তৃণেব অপেক্ষাও তাচ্ছিল্য করিতেন, কিন্তু পরের জন্য রোদন না করিয়া থাকিতে পারিতেন না। দরিদ্রের দুঃখদর্শনে তাহার হৃদয় টলিত, বান্ধবের মরণশোকে তাহার ধৈর্য্যচ্যতি ঘটাইত। জ্ঞানের উপদেশ ও বৈরাগ্যের উপদেশ তাহার নিকট এ সময়ে ঘেষিতে পারিত না। বায়ুপ্রবাহে ভ্রম-সামুমানের মধ্যে দ্রুমেরই চাঞ্চল্য জন্মে, সাল্পমান চাঞ্চল্য হয় না। এক্ষেত্রে বোধ করি, দ্রমের সহিতই তাহার সাদৃত । কিন্তু আবার সাতুমনেবই শিলাময় হৃদয় বিদীর্ণ করিয়া ষে বারিপ্রবাহ নিঃস্তত হয়, তাহাক্ট বস্কন্ধরাকে উর্বরা করে ও জীবকুলকে রক্ষা করে । সুতরাং সামুমানই বিদ্যাসাগরের সহিত প্রকৃতপক্ষে তুলনীয়। ভাগীরথী গঙ্গার পুণ্যধারায় যে ভূমি যুগ ব্যাপিয়া স্বজলা স্বফল৷ শস্যশ্যামলা হইয়া রহিয়াছে, রামায়ণী গঙ্গার পুণ্যতর অমৃতপ্রবাহ সহস্ৰ বৎসর ধরিয়া যে জাতিকে সংসারতাপ হইতে শীতল রাখিয়াছে, সেই ভূমির মধ্যে এবং সেই জাতির মধ্যেই বিদ্যাসাগরের আবির্ভাব সঙ্গত ও স্বাভাবিক । 彰 ঈশ্বর এবং পরকাল প্রভৃতি সম্বন্ধে বিদ্যাসাগরের কিরূপ বিশ্বাস ছিল, তাহার চরিত-লেখকেরা সে সম্বন্ধে কোন স্পষ্ট কথা বলেন না। তবে সংসার হইতে দুঃখের অস্তিত্ব এক নিঃশ্বাসে উড়াইয়া দিয়া সুখের এবং মঙ্গলের রাজ্য কল্পনার বলে প্রতিষ্ঠা করা বোধ করি দয়ার সাগরের পক্ষে অসাধ্য ছিল। সমুদ্রতলে সার জন লরেন্স* ডুবাইয়া দিয়া দুনিয়ার মালিক কিরূপ করুণ প্রকাশ ও মঙ্গল সাধন করিলেন, এক নিঃশ্বাসে তিনি তাহা আবিষ্কার করিতে পারিতেন না । বস্তুতই দুঃখদাবানলের কেন্দ্রস্থলে উপবেশন করিয়া জগতের মঙ্গলময়ত্ব সম্বন্ধে বক্তৃতা করা তাহার প্রকৃতির বিরূদ্ধ ছিল। বোধ করি, সেই জন্যই ঈশ্বর ও পরকাল সম্বন্ধে নিজ মত প্রকাশ করিতে তিনি চাহিতেন না। র্তাহার প্রবৃত্তি র্তাহাকে যে কৰ্ত্তব্যপথে চালাইত, তিনি সেই পথে চলিতেন। মনুষ্কের প্রতি কৰ্ত্তব্য সম্পাদন করিয়াই তিনি সন্তুষ্ট থাকিতেন, গণ্ডগোলে প্রবৃত্ত
- এই নামে একখানা জাহাজ ৭•• যাত্রী সহ কলিকাতা হইতে পুৰী যাইবার সময় বাতাবৰ্ত্তে পড়িয়া
मभूझ अग्न श्म ।