পাতা:রামেন্দ্রসুন্দর রচনাসমগ্র প্রথম খণ্ড.djvu/২২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চরিত-কথা : উমেশচন্দ্র বটব্যাল 令艾敬 * مميتة হুইয়া সিভিলিয়ানি লাভ করেন ; শেষে বিভিন্ন জেলায় প্রশংসার সহিত ম্যাজিষ্ট্রেটি কাথ্য সম্পাদন করেন। গত বৎসর ফেব্রুয়ার মাসে বগুড়ায় অবস্থানকালে তিনি ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হইয়া কালকাতায় আসেন। চিকিৎসায় বা স্থান-পরিবত্তনে কোন উপকার হইল না । ১লা শ্রাবণ তারিখে কলিকাতাব বাটিতে তাহার মৃত্যু ঘটে। রাজকয় কাৰ্য্যে তিনি প্রতিষ্ঠা ও প্রশংসা লাভ করিয়াছিলেন , নম্রতা, রসজ্ঞত। গৰ্ব্বাভাব ইত্যাদি গুণে সকলের প্রিয় 1ছলেন , সর্বববিধ কৰ্ত্তব্যসাধনে সৰ্ব্বদ। উদ্যোগী ছিলেন । তাহার ব্যত্তি গত চুবিত্র বর্তমান লেখককত্ব ক যথোচিত বণিত হইবার কোন সম্ভাবনা নাচ । 鬱 গার্হস্থ্য-জীবনে বা বাজকীয় কৰ্ম্ম সম্পর্কে তিনি বৃহৎ সমাজেব সহিত সম্বন্ধে আবদ্ধ ছিলেন , সাহিত্যক্ষেত্রে অবতীণ হইয়া তিনি বৃহত্তর সমাজের সহিত সম্পর্ক পাতাইয়াছিলেন । এই সমাডেই তাহার সহিত আমাদের সম্বন্ধ। আর কিছু দিন জীবিত থাকিলে তিনি এই বৃহত্তর সমাজকে গৌরবান্বিত করিয়া যাইতে পারিতেন, সন্দেহ নাই । & বাস্থবিব ই বাঙ্গালী-সাহিত্যে তাহার রচনা অপূৰ্ব্ব সামগ্রী ছিল। এই দুভাগ্য দেশের সাহিত্যক্ষেত্রে প্রায় সমগ্র প্রদেশ টা যে সেনা-কর্তৃক অধিকৃত, সেই সেনাভুক্ত বীর পুরুষগণের বীরত্বের আস্ফালন যথেষ্ট আছে। কিন্তু তাহাদের শরীরে মেরুদণ্ডের ও অস্থিকঙ্কালের আস্তত্ব সম্বন্ধে ঘোর প্রমাণাভাব। রামায়ণের আমলে ও হোমারের আমলে বীর পুরুষের বাহুযুদ্ধে প্রবৃত্ত হইবার পূৰ্ব্বে বাগ - যুদ্ধটাকে একেবারে অনাবশ্বক বলিয়া জানতেন না , তবে বাহুযুদ্ধটা একবার আরম্ভ হইলে, তাহার ফল শক্রর পক্ষে বড় বিষম হইত। কিন্তু বঙ্গসাহিত্যু-ক্ষেত্রের বীরেরা যে বাক্যবাণ প্রয়োগ বরেন, তাহার তীয়তা কখন অনুভবের বিষয় হয় না , . এবং তাহারা যে অস্থের আস্ফালন করেন, তাহ কাহারও পৃষ্ঠে কখন কাটিয়া বসে না । এক শ্রেণীর লেখকের অত্যাচাবে মনে হয়, কি অশুভ ক্ষণেই এ দেশে কমলাকাস্তের দপ্তর ও উদভ্ৰান্ত প্রেমের প্রকাশ হইয়াছিল। আর এক শ্রেণীর লেখক নিতান্ত পুরাতন জীর্ণ সত্যকে জীণতর বেশভূষায় কথঞ্চিৎ সজ্জিত ও আবুত করিয়া সাধারণের সমক্ষে উপস্থিত করেন, তাহার প্রতিও কোনরূপ আকুরাগ জন্মিবার সম্ভাবনা নাই। বঙ্গভূমি স্বয়ং যে ব্রীহি"স্য বর্ষে বর্ষে উৎপাদন করেন, তাহ, শুনিতে পাই, একান্ত নাইট্রোজেন-এজ্জিত , আর বঙ্গের বাগ দেবতা ঘেসাহিত্যের স্বষ্টি করেন, তাহা "ধূম-জ্যোত:-সলিলমর তাং সন্নিপাতঃ” , বঙ্গদেশে কাঠিন্য ধৰ্ম্মবিশিষ্ট সামগ্রীর এত অভাব বেন, তাহ স্নধ।গণের আলোচ্য। উমেশচন্দ্র বটব্যালে বঙ্গদেশের প্রাকৃতিক নিয়মের ব্য।তক্রম ঘটিয়াছিল। উচ্ছাসের হাওয়া ও বাক্যের কুয়াস কাটাহয় উন্মুক্ত আলোকে ও কঠিন মুক্তিকায় দুই দণ্ড দাড়াইবার অবসর দিয়া তিনি আমাদগকে কৃতাৰ্থ করিতেন। তাহাব উদ্যত অস্ত্রে কেবল ঔজ্জ্বল্য ও ক্ষমতা ছিল না , তাহাতে ধার ছিল , যে বাহুতে তিনি সেই অস্ত্র ধারণ করিতেন, তাহাত অস্থি ও পেশী বর্তমান ছিল । কেবল পুরাতন কথার পুনরাবৃত্তি করিয়া তিনি ভবণেন্ত্রিয়েব বিরক্তি জন্মাইতেন না। তিনি প্রায়ই झॉ-**