পাতা:রামেন্দ্রসুন্দর রচনাসমগ্র প্রথম খণ্ড.djvu/২৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૨૭૭ রামেন্দ্রস্বন্দর রচনাসমগ্র দমিত হয় নাই। এই অবস্থাতেও তিনি পাঠের জন্য ঐতিহাসিক গ্রন্থ প্রচুর পরিমাণে ক্রয় করিতেন। এই অবস্থাতেই তিনি সিপাহী যুদ্ধের ইতিহাস লিখিবার সঙ্কল্প করেন। ২৮৮ সালে বঙ্গবাসী" সংবাদপত্রের নিয়মিত লেখকশ্রেণীর মধ্যে রজনীকান্তের নাম বাহির হয়। ঐ বৎসর পবলোকগত রেবরেণ্ড কৃষ্ণমোহন বন্দ্যোপাধ্যায়ের যত্বে তিনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক এনট্রান্স পরীক্ষার অন্যতম পরীক্ষক নিযুক্ত হয়েন ও তৎপব বৎসর তাহার সঙ্কলিত সংস্কৃতগ্রন্থ এনট্রান্স পাঠ্য পুস্তক রূপে নিৰ্দ্ধারিত হয়। এই ঘটনার পর হইতে আব তাহাকে জীবিকার জন্য ক্লেশ পাইতে হয় নাই। . 'বঙ্গবাসী’তে প্রকাশিত ঐতিহাসিক প্রবন্ধগুলি নিবদ্ধ হইয়। ‘আর্য্যকীৰ্ত্তি’ প্রকাশিত হয়। উহাই তাহার বালকপাঠ্য প্রথম বচন । তৎপবে তিনি বিদ্যালয়ে ব্যবহ'বের জন্য অনেকগুলি পুস্তক রচনা করিয়াছিলেন। তন্মধ্যে অনেকগুলি গ্রন্থ টেকৃষ্ট-বুক কমিটির অনুমোদিত হইয়াছিল ; কোন কোনখানি ছাত্রবৃত্তি প্রভৃতি পরীক্ষায় পাঠ্যরূপেও নির্দিষ্ট হইত। এইরূপে স্কুলপাঠ্য পুস্তক প্রচারে তাহার থে আয় দাড়াইয়াছিল, তাহার সাহায্যে শেষ পর্য্যন্ত তাহাকে আর স’সাব চালাষ্টবার জন্য কষ্ট করিতে হয় নাই। র্তাহার অমায়িক ভদ্র স্বভাবে ও উদার সরল ব্যবহাবে তাহার বন্ধুগণ মুগ্ধ ছিলেন। এমন শাস্ত স্বভাবের ও সরল ব্যবহারের দৃষ্টান্ত নিতান্ত বিরল। যিনি একবার অল্প সময়ের জন্য র্তাহাব স্পর্শে আসিতেন, তিনি তাহার অরুত্রিম সারল্যে মুগ্ধ হইয়া যাইতেন। তাহার অকালমৃত্যুতে র্তাহাব বন্ধুগণ আত্মীয়বিয়োগের ব্যথা পাইয়াছেন । তাহার চিত্ত সৰ্ব্বদা প্রফুল্ল থাকিত ; যেখানে তিনি উপস্থিত থাকিতেন, সে স্থানকে আনন্দময় করিয়া তুলিতেন। তিনি প্রায় সকল সময় সাহিত্যের আলোচনায় ও সদালাপে অতিবাহিত করিতেন। বঙ্গসাহিত্যে রজনীকান্তের অভাব তদপেক্ষ ক্ষমতাশালী পণ্ডিত জন কর্তৃক পূণ হইবে ; কিন্তু সেই অকপট, শ্রদ্ধাশীল, অমায়িক, অনুরক্ত, সদানন্দ বন্ধুর অকালমরণে র্তাহার বন্ধসমাজ যে অভাব বোধ করিবেন, তাহা আর পূর্ণ হইবার নহে। বঙ্গীয় সাহিত্য-পরিষৎ স্থাপিত হওয়া অবধি রজনীকান্ত গুপ্ত উহার অমুগত সেবক ছিলেন। শ্রীযুক্ত রাজ fo Cocos assess on Bengal Academy of Life ature বিজাতীয় বেশ ত্যাগ করিয়া বঙ্গীশ-সাহিত্য-পরিষদে রূপান্তরিত হয়, রজনীবাবু তদবধি উহাব সেবায় প্রবৃত্ত হইয়াছিলেন। ‘সাহিত্য-পরিষৎপত্রিকা র তিনিই প্রথম সম্পাদক। প্রথম দুই বৎসর তিনি দক্ষতাব সহিত পত্রিকা সম্পাদন করিয়াছিলেন। পত্রিকার জন্য প্রবন্ধ রচনা ও প্রবন্ধ সংগ্ৰহ হইতে মুদ্রণকার্য্যের তত্ত্বাবধান ও প্রাফ দেখা পৰ্য্যস্ত সমস্ত কাৰ্য্যই তাহাকে একাকী সম্পন্ন করিতে হইত। এই জন্য র্তাহাকে প্রভূত পরিশ্রম করিতে হইত। পরিষদের প্রতিষ্ঠার ও উন্নতির জন্যও তিনি প্রচুর পরিশ্রম করিয়াছিলেন। রাজা বিনয়কৃষ্ণ বাহাদুর ও তদানীন্তন সভাপতি শ্ৰীযুক্ত রমেশচন্দ্র দত্ত মহাশয় রজনীবাবুর পরামর্শ না লইয়া পরিষদের জন্য কোন কাজই করিতেন না। পরিষদের ৰূর্ণ্যে-প্রণালীর আলোচনায় তিনি প্রচুর সময়ক্ষেপ করিতেন। পরিষদের উদেণ্ড