পাতা:রামেন্দ্রসুন্দর রচনাসমগ্র প্রথম খণ্ড.djvu/২৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বৰ্গীয় ব্যোমকেশ মুস্তফী ૨ઉ (t এই পুথিতে গ্রন্থকর্তা গদাধর দাসের নিম্নলিখিত বংশপরিচয় আছে। ভাগীরথী তট নদী ইন্দ্রায়ণি নাম । প্রিয়ঙ্কর সুরেশ্বর কেবল সুন্দর। তার মধ্যে প্রতিষ্ঠিত গণি সিঙ্গিগ্রাম ॥ চতুর্থে শ্রমূখ দেব পঞ্চমে শ্ৰধর ॥ অগ্রদ্বীপ গোপীনাথ রায় পদতলে । প্রিয়ঙ্কর হৈতে হৈল এ পঞ্চ উদ্ভব । নিবাস আমার সেই চরণকমলে ॥ যত্ন সুধাবর মধু রাম জে রাঘব ॥ তাহাতে সাণ্ডিল্য গোত্র দেব জে দৈত্যারি। সুধাকর নন্দন এ যে তিন প্রকার । দামোদর পুত্র তার সদ। সে বেহারী ॥ শ্ৰীমন্ত কমলাবাস্ত * * মন্ত আর ॥ দুবরাজ শুভরাজ তাহার নন্দন । কমলাকাম্বের হৈল এ তিন কোঙর । দুবরাজ পুত্র হইল মীন জে কীৰ্ত্তন। প্রথমে শ্রীকৃষ্ণদাস শ্রীকৃষ্ণকিঙ্কর ॥ তাহার নন্দন হইল নাম ধনঞ্জয় । দ্বিতীয়েতে কাশীদাস ভক্ত ভগবান । তাহাতে জন্মিল জেই এ তিন তনয় ॥ রচিল পাচালি ছন্দ ভাবত পুরাণ ॥ রঘুপতি ধনপতি দেব ন পতি । তৃতীয়ে কনিষ্ঠ দ ন গদাধর দাস । রঘুপতির পঞ্চ পুত্র প্রতিষ্ঠিত মতি ॥ জগতমঙ্গল কথা করিল প্রকাশ ॥ সাহিত্য-পরিষৎ- পত্রিক। ৬২৷১৭৩ পৃষ্ঠে প্রকাশিত কাশীরাম দাসের বংশতালিকার সহিত এই পরিচয়ের বিশেষ অনৈক্য নাই। ঐ তালিকায় রঘুপতির পাচ পুত্ৰ— প্রিয়ংকর, রঘুগুর (?), কেশব, শ্ৰীমুখ (?) শ্রীধর উল্লিপিত হইয়াছে। বৰ্ত্তমান পুথিতে রঘুশ্বর স্থলে সুরেশ্বর ও বিশ্বকোষ কাৰ্য্যালয়ের পুথিতে শ্ৰীমুখবে স্থলে শ্রীরঘুদেব রহিয়াছে। এই দুই নাম প্রকৃত ধরিলে, রঘুপতির পাচ পুত্ৰ—প্রিয়ঙ্কর, স্বরেশ্বর কেশব, রঘুদেব ও ঐধর। প্রিয়ঙ্করের পুত্র স্বধাকর। সুধাকরের তিন পুত্র ; শ্রমস্ত ও কমলাকান্ত দুই জনের নাম ; তৃতীয়ের নাম এখনও স্থির হইল না। কমলাকাস্তের মধ্যম পুত্র কাশীদাস । এই পুথির তারিখ ১২৪৬ সাল চৈত্র মাস। লিপিকারের আত্মপরিচয় পুথির শেষে রহিয়াছে। নিজ বিবরণ শুন, জন্ম শ্ৰীকরণ কুল, আন্তস্থল ঘোষ কান্দি বসতি। মাতামহ আশ্রিতে, নিবসি পাতগুতে, সাধিকার মাতুল শ্ৰীপতি । হরিপদ মকরন্দ, লিখি স্মরি কৃষ্ণচন্দ্র, কেবল ভরসামাত্র তার। আমি অতি দীন হীন, ভজনবিহীন জন, তোমা বই কে করে নিস্তার ॥ তুমি মাত হৰ্ত্ত কৰ্ত্তা, ত্ৰিজগতের হও মাতা, তব পদ সদা করি আশে । সময় দিব। দেড় প্রহর, বলি পূৰ্ব্বদ্বার ঘর, লিখিল শ্ৰীতারাচরণ ঘোষে ॥ ( 'সাহিত্য-পরিষৎ- পত্রিকা’, ১৩০৮, ১ম সংখ্যা ) স্বগীয় বোমকেশ মুস্তফী ব্যোমকেশ নাই, সাহিত্য-পরিষৎ বর্তমান ; বেশ কথা। আমরা কেহই একদিন থাকিব না, সাহিত্য-পরিষং বর্তমান থাকিবে ; ইহা আমি প্রার্থনা করি ; আপনারাও প্রার্থনা করেন। কিন্তু ব্যোমকেশহীন সাহিত্য-পরিষংকে আমি দাড়াইয়া দেখিব, পরিষৎ-মন্দিরে দাড়াইয়া ব্যোমকেশের মরণসংবাদ আমাকে