পাতা:রামেন্দ্রসুন্দর রচনাসমগ্র প্রথম খণ্ড.djvu/৩১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাহিত্য-কথা কৃষ্ণকাস্তের উইল যখন প্রথমে পড়িয়াছিলাম, তখন ঐ কাব্যের সহিত ম্যাকৃবেথের একটা সাদৃশুবোধ মনের মধ্যে আসিয়াছিল। সে অনেক, দিনের কথা, কিন্তু আজ পর্য্যন্ত সেই সাদৃশ্বের অনুভবটা মনের মধ্য হইতে লুপ্ত হয় নাই, বরং আস্তে আস্তে কাটিয়া বসিয়াছে। আমার সেই অনুভূতির পক্ষে বিশেষ কিছু যুক্তি আছে কিনা জানি না ; এবং কাব্য-সমালোচকের ও সাহিত্য-সমালোচকের বিশ্লেষণী দৃষ্টির নিকট উত্তীর্ণ হইয় তাহা উপহাস্য হইবে না, এরূপ সাহসও আমার নাই। অধিকন্তু ব্যক্তিবিশেষের মনের একটা ভাব সাধারণ পাঠকের উপর নিক্ষেপচেষ্টা কতকটা আবদার বলিয়। গৃহীত হইতে পারে। তথাপি পাঠক ও সমালোচক উভয়ের নিকট সভয়ে মার্জন ভিক্ষা করিয়া কথাটা ফুটিয়া বলিতে প্রবৃত্ত হইতেছি। কিন্তু বলিতে প্রবৃত্ত হইলেই একটা প্রকাণ্ড তত্ত্বকথা আসিয়া প্রথমে উপস্থিত হয়। সাহিত্য-সমালোচনায় তত্ত্বকথা অনেকে ভালবাসেন না, ও কিঞ্চিৎ শঙ্কা ও বিরাগ ও সন্দেহের সহিত তাহার প্রতি নিরীক্ষণ করেন । কাব্যমধ্যে তত্ত্বকথার আবিষ্কার দ্বারা আবিষ্কারক মহাশয় স্থম্মদৃষ্টির জন্য হয়ত অনেক জায়গায় প্রতিষ্ঠালাভ করিতে পারেন ; কিন্তু অধিকাংশ স্থলে এইরূপ তত্ত্বকথার আবিষ্কার সাধারণ পাঠকের প্রতি অত্যাচার ও কাব্যপ্রণেতার প্রতি ঘোরতর নিগ্রহের কারণ হইয়া দাড়ায় । কাব্য মাত্রেই একটা তত্ত্ব আবিষ্কার করিতে হইবে, এরূপ কোন আইন থাকা উচিত নহে ; এবং কাব্য মাত্রেরই অভ্যন্তরে একটা নিগৃঢ তত্ত্ব রাখিতে হইবে, কবিগণও এরূপ কঠিন নিয়মে বাধ্য নহেন। একটা উদাহরণ দিয়া এই ভূমিকাটা বিশদ করা যাইতে পারে। একটা বড গোছেবই উদাহরণ লওয়া যাক। মনে কর মহাকবি কালিদাস। কালিদাসপ্রণীত কাব্যমধ্যে কোন গৃঢ় দুর্ভেদ্য দার্শনিক তত্ত্ব গুপ্ত আছে কি না জানি না। কেহ কেহ এইরূপ তত্ত্ব আবিষ্কারের যত্ব করিয়াছেন শুনিয়াছি। কিন্তু কত দূর কৃতকাৰ্য্য হইয়াছেন বলিতে পারি না। আমার স্কুল বিবেচনায় কালিদাসের কালিদাসত্ব এরূপ দার্শনিক তত্ত্বের অস্তিত্বের উপর নির্ভর করে না। সম্পূর্ণ দার্শনিক দৃষ্টির অভাব সত্ত্বেও কেবল খানিকটা অনুভূতি মাত্র লইয়া কালিদাসের নিকট উপস্থিত হইলে তৎপ্রদত্ত কাব্যরসের আস্বাদন পূর্ণমাত্রায় পাওয়া যাইতে পারে। রসপিপাস্কর পক্ষে আশাতে বঞ্চিত হইবার কোন কারণ উপস্থিত হয় না ; কেন না, সেখানে তিনি যে রস আস্বাদন করিতে পান, অন্য কোথাও তাহার তুলনা মিলে না। মহাকবির মহিমা দূর হইতে যেমন শুনা যাইত, নিকটে আসিয়া দৃষ্টি করিলেও ঠিক তেমনই অক্ষুণ্ণ থাকে, অথবা আরও বাড়িয়া যায়। অন্য কবি হইতে কালিদাসের বিভেদ, তাহার সৌন্দৰ্য্য দৃষ্টিশক্তি বিষয়ে ; তাহার সৌন্দৰ্য্য অনুভূতির তীয়তায় ও তীব্রতায়, তাহার সৌন্দৰ্য্য স্বষ্টি সামর্থ্যে । এই বিষয়ে কালিদাস বোধ করি পুথিবীর মধ্যে অদ্বিতীয়। পৃথিবীতে যেখানে যে কিছু সৌন্দর্ঘ্য আছে, তাহ। त्रन्नि7ळ दछ त्रज्राद्धि झूठ नीं । विश्वांछ ऊ९श्छे *** -- " ^ ہجاہم چہر י "י י־"י־יי וויאידי האשtחזהזחס זה לפי הזס):