পাতা:রামেন্দ্রসুন্দর রচনাসমগ্র প্রথম খণ্ড.djvu/৪১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 e Ե- রামেন্দ্রসুন্দর রচনাসমগ্র পরের ভূমি লুণ্ঠন করিবার ও পরের দ্রব্য আত্মসাং করিবার কোন উপায়ই বৰ্ত্তমান নাই। এ দেশের ভূমিতে কেবল শস্ত জন্মে, দেশের প্রায় সমস্ত লোকে সেই শস্ত উৎপাদনে নিযুক্ত থাকে, এবং যে বৎসর শস্ত জন্মে, সে বৎসর থাইতে পায়, যে বৎসর জন্মে না, সে বৎসর মরিবার অধিকার কেহ কাড়িয়া লয় না, আমাদের রাষ্ট্রশক্তি সেই শস্তসম্পত্তির রাজভাগ গ্রহণ করেন, তাহাতে প্রজার জীবনোপায় সম্যকৃ বর্তমান থাকে কি না, তাহ যে মাননীয় মহোদয়* অদ্য সভাপতির আসন গ্রহণ করিয়া আমাকে ও আপনাদিগকে সম্মানিত করিয়াছেন, র্তাহার নিকট তাহার সদুত্তর পাইবেন, আমার কোন কথা বলিবার প্রয়োজন নাই। এ দেশের লোক যখন আবিষ্কার করিল যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাপ পাইলে অন্নার্জনের কিছু সুবিধা হইতে পারে, তখন যে তাম্বারা সেই সুবিধার আশ্রয় গ্রহণ করিবে, তাহাতে তাহাদের দোষ দেওয়া যায় না । যে সময়ে এ দেশে ইংরাজী বিদ্যার প্রবর্তন হইয়াছিল, সেই সময়ে ইংরাজের রাজকাৰ্য্য সুচারুভাবে পরিচালনের জন্য কুলি মজুর চাপরাসী হইতে মুন্সেফ ডেপুট পৰ্য্যন্ত আবর্তক হইয়াছিল ; তাহারাও বিশ্ববিদ্যালয়ের চিহ্নিত ব্যক্তিগণের মধ্য হইতে অনুগ্রহ করিয়া কুলি মজুব মুন্সেফ ডেপুটি প্রভৃতি অসঙ্কোচে গ্রহণ করিতে লাগিলেন। দেশের বর্তমান অবস্থায় ‘ই। গুল মিণ্ডিলে কিঞ্চিৎ অধিকার না থাকিলে ঐ সকল কাৰ্য্য সম্পাদন করিবার উপায় নাই, এবং গবর্ণমেণ্ট যখন চিহ্নিতগণের জীবিকার সংস্থান করিতে লাগিলেন, তখন দেশের লোকেও যে অত্যন্ত আগ্রহের সহিত ‘ইণ্ডিল মিণ্ডিলে’ অধিকারী হইতে লাগিল, তাহ বিচিত্র কি ? ফলে অন্য দেশে শিক্ষানীতি যাহাই হউক, আমাদের দেশে সে সকলের প্রয়োগের একান্ত অভাব। অন্য দেশে বিশ্ববিদ্যালয় জ্ঞানচর্চা কবেন; সত্যাবিষ্কার করেন, মনুষ্যের ব্যক্তিগত ক্ষমতাবিকাশের চেষ্টা করিয়া তাহাকে রাষ্ট্রের কৰ্ম্মঠ ভূত্যে পরিণত করেন, মৎস্যের সমগ্র চিত্তবৃত্তির সর্বাঙ্গীণ ফুত্তি সাধন করেন। র্তাহার। যথার্থই শিক্ষা দেন, এবং এত যত্বেও যদি কেহ শিক্ষা না পায়, তাহাকে শিক্ষিতের চিহ্ন ন দিয়া জীবিকার জন্য অন্য পস্থা আশ্রয় করিতে বলেন । আমাদের দেশে শিক্ষার সে সকল উদ্দেশ্য নাই। এ দেশের শিক্ষানীতির উদ্দেতা ঐরুপ বুঝিলে শিক্ষানীতিকে উপহাস করা হয় এবং স্বয়ং, প্রতারিত হইতে হয় । এদেশের বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষাই দেন না । তাহার কেবল পরীক্ষা করেন। যাহারা অন্যত্র শিক্ষা পাইয়া পরীক্ষার জন্য আবেদন করেন, র্তাহাদের মুখ্য উদেখা জীবিকার্জন, চিত্তবৃত্তির স্ফুক্তিলাভও নহে, মল্লযুত্বের বৃদ্ধিও নহে, পাণ্ডিত্যের অর্জনও নহে। তবে মনুষ্য কোন দেশেই নিজীব পদার্থ নহে ; দুষ্ট এক জন মনুষ্য লক্ষ্যভ্রষ্ট ও উদ্দেশুভ্রষ্ট হইয়া সহসা পাণ্ডিত্য উপার্জন করিয়া ফেলে, জীবিকার্জনের জন্য তেমন লালায়িত হয় না ; সে তাহার দোষ নহে, তাহার মতুয়ত্বের দোষ । এ দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ও শিক্ষার্থীদিগের সাহিত্য বিজ্ঞান দর্শনাদিতে পরীক্ষা গ্রহণ করেন সত্য বটে, এবং কেহ কেহ অকস্মাং সাহিত্য দর্শন বিজ্ঞানে পরিপক্কও হইয় উঠে, সত্য কথা ; কিন্তু এ দেশের অধিকাংশ শিক্ষার্থীর সে উদ্দেশু - HAAASAAAAASA SAAAASMMMS SSAS SSAS SSAS

  • লীযুক্ত রমেশচন্দ্র দত্ত সি আই. ই. ।