বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:রামেন্দ্রসুন্দর রচনাসমগ্র প্রথম খণ্ড.djvu/৪১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8Հ Ց রামেন্দ্রসুন্দর রচনাসমগ্র অধীন ; যেটুকু স্বাতন্ত্র্য ছিল, তাহাও বুঝি থাকে না ; অথচ গবর্মেন্ট আশা করেন, বাহিবের বদান্যতায় বিশ্ববিদ্যালয় পুষ্ট হইবে। উত্তম কথা—প্রাইভেট কলেজের মধ্যে র্যাহ্বাদের জীবন বড়ই কঠিন, যাহার। বর্তমান আঘাত হজম করিয়াও বঁচিবেন, তাহার। বিশ্ববিদ্যালয়কে অর্থ সাহায্য করিয়া বেত্ৰাঘাত সহ করিতে থাকুন ; আমাদের ধনিগণ উপাধি লাভের নৃতন পন্থায় ধাবমান হইয়া জনগণের নেত্ৰোৎসব সম্পাদন করুন ; এবং আমাদের গলমেণ্ট ঢাল-তলোয়ারহীন নিধিরাম সর্দারকে রণক্ষেত্রে প্রেরণ করিয়৷ উচ্চ শিক্ষার লড়াই ফতে করুন। কিন্তু হে ভারতসস্তান, তোমাকে মিনতি করি, তুমি এই অবসরে শিথিয় রাখ, পরান্নে শরীর পোষণ হয় না, দ্বারদেশে চীৎকার করিয়া গৃহস্থের কণশূল উৎপাদনে বিশেষ কোন লাভ নাই ; জানিয় রাখ সরস্বর্তী কুটারবাসী দরিদ্র উপাসককে ঘৃণা করেন না। অতএব হে ভারতসন্তান, হে সৌম্য, হে প্রিয়দর্শন, পুনশ্চ বলিতেছি, দেবোপাসনার জন্য পুরোহিতের সাহায্য নিতান্তই আবশ্বক নহে , যে উপাসনাপ্রণালী জানে ও প্রণালুমিত উপাসন করে, দেবতা তাহারই প্রতি প্রসন্ন হন। ফাকি দিয়া মাতুষ ভোলাইতে পারা যায়, কিন্তু দেবত ভুলাইতে পারী যায় না ; বিন সাধনায় সিদ্ধিলাভ হয় না। দেখ, সৰ্ব্বদেশে সৰ্ব্বকালে সাধনার নাম পরিশ্রম, সাধনার নাম অনুরাগ, সাধনাব নাম শ্রদ্ধা, সাধনার নাম ভক্তি, সাধনার নাম ত্যাগ । তেমির স্বাবলম্বন অভ্যাস দ্বার শ্রমের সহিত, অন্তরাগের সহিত, শ্রদ্ধার সহিত, ভক্তির সহিত ত্যাগের সহিত দেবতার উপাসনা কর ; তোমাদের আয়াস নিস্ফল হইবে না। নতু৭। সমস্তই নিস্ফল হইবে ; আমাদের মত দরিদ্রের, —যাহাঁদের অবস্থা ঘোর অস্বাভাবিকতারূপ মহাব্যাধিতে গ্রস্ত, তাহদের অর্থ নিষ্ফল, শ্রম নিষ্ফল, বিদ্য। নিষ্ফল, বুদ্ধি নিষ্ফল, জীবন নিস্ফল এবং সর্বাপেক্ষ নিস্ফল অদ্যকার মত অরণ্যে রোদন ৷ ( সাহিত্য’, অশ্বিন ১৩, ৯ ) মহাকাব্যের লক্ষণ ইংরাজি এপিকু শব্যের অনুবাদে মহাকাব্য শব্দের প্রয়োগ চলিয়া আসিতেছে ; কিন্তু এপিকের সমস্ত লক্ষণের সহিত মহাকাব্যের সমস্ত লক্ষণ মিলে কি না, তাহ বলিতে পারি না। সংস্কৃত অলঙ্কারশাস্ত্রে আমার কিছু মাত্র জ্ঞান নাই, কিন্তু শুনিয়াছি যে, আলঙ্কারিকের মহাকাব্যের লক্ষণ যেরূপ স্বক্ষভাবে বাধিয়া দিয়াছেন, তাহাতে মহাকবিগণের চিন্তার কারণ কিছুই রাখেন নাই। কালিদাস, ভারবি, মাঘ প্রভৃতি কবিগণের রচিত মহাকাব্য এ দেশে চলিত আছে, এবং ঐ সকল মহাকাব্য সম্ভবত অলঙ্কারশাস্ত্রসম্মত মহাকাব্য। রামায়ণ ও মহাভারত, এই দুই গ্রন্থকে মহাকাব্য বল} চলে কি না, তাহা লইয়া একটা তুমুল সমস্ত গোড়াইতেই দাড়ায়। ইংরাজি পুস্তকে রামায়ণ ও মহাভারত এপিকু বলিয়া নিদিষ্ট হয়, কিন্তু আমাদের পণ্ডিতেরা উহাদিগকে মহাকাব্য বলিতে সৰ্ব্বদা সম্মত হন না। প্রথমত এ দুই গ্রন্থ অলঙ্কারশাস্ত্রের নিয়মাবলী অত্যন্ত উংকটরূপে লঙ্ঘন করিয়াছে । দ্বিতীয়তঃ মহাকাব্য বলিঙ্গে উহাদের গৌরবহানির সম্ভাবনা জন্মে। ইতিহাস, পুরাণ, ধৰ্ম্মশাস্ত্র ইত্যাদি আখ্যা দিলে বোধ করি এই দুই গ্রন্থের মধ্যাদা রক্ষা হইতে পারে। কিন্তু মহাকাব্য বলিলে