পাতা:রামেন্দ্রসুন্দর রচনাসমগ্র প্রথম খণ্ড.djvu/৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 а রামেন্দ্রস্বনীর রচনাসমগ্ৰ বাঙ্গালার একারের একটা ট্যারচ উচ্চারণ আছে— উপযুক্ত চিহ্নের অভাবে তাহ লিখিয়া দেখান দুষ্কর। এইখানেই তাহার পরিচয় আছে—‘একটা" ও "ট্যারচা’ এই দুই শব্দেষ্ট পরিচয় আছে। এই পরিচয় কিরূপে দেখাব না 'দ্যাখাব’, তাহ জানি না । এতদ্ভিন্ন সংস্কৃত বর্ণমালায় ‘ঋ’ ও ‘ক’ এই দুইটি বর্ণ স্থান পায়। উহার স্বরবণমধ্যে গণিত হইলেও খাটি স্বর নহে। ‘খ’ উচ্চারণের সময় জিহ্বাশ্র প্রায় মূৰ্দ্ধা স্পর্শ কবে ; ‘৯’ উচ্চারণের সময় জিহাগ্র প্রায় উপর পাটির দাত স্পর্শ করে। প্রাম কবে,–একটু ফাক থাকিয়া যায়; হাওয়া সেই ফাক দিয়া বাহিরে আসে। হাওয়াট একবারে আটকায় না বলিয়া উহাদিগকে ব্যঞ্জনমধ্যে না ফেলিয়া স্বরের মধ্যে ফেলা হইয়াছে। সংস্কৃত ভাষায় ঋকারেব হ্রস্ব ও দীর্ঘ উভয় প্রয়োগই আছে; তবে দীঘ প্রয়োগের দৃষ্টান্ত অধিক নাই। - কারের দীর্ঘ প্রয়োগু দেখা যায় না। দীর্ঘ ন কারকে কেবল symmetry রাখিবার অমুবোধে বর্ণমালায় স্থান দেওয়া হইয়াছে। ‘ক’ চ ট ত ‘প এই স্পর্শবর্ণ কয়টি মুখকোটরের ভিন্ন ভিন্ন স্থানের স্পর্শের ফলে উচ্চারিত হয়, দেখা গিয়াছে। ইহাদের প্রত্যেকের আবার রূপভেদ আছে। স্পর্শের সময় একটু বেশী চাপ দিলে হাওয়াও একটু জোরে বাহির হয়, তখন ‘ক’ পরিণত হয় থ’য়ে; চ’ পরিণত হয় ছয়ে। ঐরুপ ট, ত এবং প যথাক্রমে ঠ, থ এবং ফ'য়ে পরিণত হয় । ক চ ট ত প—এই পাঁচটি বর্ণ অল্পপ্রাণ ; আর খ ছ ঠ থ ফ এই পাচটি মহাপ্রাণ। প্রাণ শব্দের অর্থ হাওয়া , হাওয়া জোরে বাহির হয় বলিয়া নাম হইয়াছে মহাপ্রাণ। আবার হাওয়াব পরিমাণটা বেশী হইলে, প্রত্যেক বর্ণের উচ্চারণ আরও গম্গমে জমজমে গম্ভীব হইয় পড়ে, তখন ক চ ট ত প যথাক্রমে গ জ ড দ ব’য়ে পরিণত হয়। ধ্বনির এই গাম্ভীর্য্যের পারিভাষিক নাম ঘোষ’, ‘ক’ম্বে ঘোষ নাই , কিন্তু ‘গ’য়ে ঘোষ আছে। ঐরূপ 'চ'য়ে ঘোষ নাই , কিন্তু “জীয়ে ঘোষ আছে । ঐ রূপ গ জ ড দ ব আবার জোরে উচ্চারণে ঘ ঝ ঢ ধ ভ এই পাচ বর্ণে পরিণত হয়। গ জ ড দ ব অল্পপ্রাণ , তাহাদের তুলনায় ঘ ঝ ঢ ধ ভ মহাপ্রাণ । ক ও থ উভয়েই ঘোষহীন , উহার মধ্যে আবার ক অল্পপ্রাণ, খ মহাপ্রাণ। গ ও ঘ ঘোষধান , উহার মধ্যে গ অল্পপ্রাণ, ঘ মহাপ্রাণ। এইরূপে প্রাণের ও ঘোষের তারতম্যে ক-বর্ণ ‘ক’ ‘খ’ ‘গ’ ‘ঘ’ এই চারি রূপ গ্রহণ করে , আর উচ্চারণ কালে নাক দিয়া কতক হাওয়া আসিলে উহার অনুনাসিক রূপ হয় ঙ। কাজেক্ট জিহবা মূলীয় স্পর্শবর্ষ ক-বর্গের অন্তর্গত পাচটি বর্ণ ক, খ, গ, ঘ ঙ । ঐরুপ তালব্য চ-বর্গের অন্তর্গত চ, ছ, জ ঝ ঞ ; মূৰ্দ্ধন্ত ট-বর্গের অন্তর্গত ট, ঠ, ড, ৮, ৭ ; দস্ত্য ত-বর্গের অন্তর্গত ত, থ, দ, ধ, ন । আমাদের বর্ণমালার ব্যঞ্জনবর্ণগুলি এইরূপে সাজান ৰাইত্তে পারে -