পাতা:রামেন্দ্রসুন্দর রচনাসমগ্র প্রথম খণ্ড.djvu/৪৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8br之 রামেন্দ্রস্থদের রচনাসমগ্র ৬ । ওরে সাজ-লে— জল শুদ্ধ স্থল শুদ্ধ শুদ্ধ তামার বাটি । আড়াই হাত মুত্তিক শুদ্ধ শুদ্ধ ঢাকের কাঠি ॥ ৭ । ওরে সাজ লে— তুই ত মেরা ভাই, সাজলে, তুই ত মেরা ভাই। তোর সঙ্গে গেলে, সাজলে, শিব দরশন পাই ॥ 馨 [ মেবা = আমার ] ৮ । ওরে সাজ লে— ভাল বাজালি ঢেকে ভেয়ে তোর মা আমার মাসী । এনোদ ক'রে বাজা সাজ লেবেনোদ ক'রে নাচি ॥ [ ঢেকে1=ঢাকবাদক ; ভেয়ে = ভাইয়া= ভাই ; এনোদ= আনন্দ , বেনোদ = বিনোদ ] মধ্যাহে "ভাড়ার আনা”—ভক্তের দূরের কোন জলাশয় হইতে কলসী ভরিয়া জল তোলে ও মাথায় লইয়া ঢাকের বাজনার সহিত নাচিতে নাচিতে মন্দিরে উপস্থিত হয়। নাচিবার সময় মূৰ্ছার অভিনয় নয়—দেবতা মূৰ্চ্চাগ্রস্তে “ভর” দেন ও তাহার মুখ হইতে নানা গুপ্তকথা, নানা ব্যাধিব চিকিৎসা-প্রণালী বলিয়া ফেলেন। বৈশাখের মধ্যাহ্নের রৌদ্রে নাচ—তাহাতে সৰ্ব্ব এ মূৰ্ছা-অভিনয় ন হইতেও পারে। তৎপরে পূজা, হোম, বলিদান। সন্ধ্যার সময় দাঙ্কুর ঘাটা’ ; ধৰ্ম্মঠাকুর—এক বা একাধিক সিন্দুরমণ্ডিত শিলাখণ্ড পূজারির মাথায় চাপিয়া স্নান করিতে যান ও স্বানান্তে মণ্ডপে মিছিল সহ ফিরিয়া আসেন। মিছিলের প্রধান অঙ্গ “বাণ ফোঁড়া” ; একদল লোক পেটের দুই পাশ্বে লোহার কাটা বিন্ধাইয়া কাটার দুই অগ্রভাগ একত্র করিয়া তাহাতে নেকড় জড়ায় ; নেকডায় তেল দিয়া আগুন জালে ও আগুনের উপর ধুনা ছিটাইলে দপ, করিয়৷ জলিয়া উঠে। ইহাই বাণফোড। ইহার সহিত “শঙ” থাকে ও বাদ্য ভাণ্ডের অনুষ্ঠান থাকে। রাত্রিকালে যাত্রা প্রভৃতি কবিগানের অল্পষ্ঠানে উৎসব সমাপন । ( ‘সাহিত্যপরিষৎ-পত্রিকা’, ১ম সংখ্যা, ১৩১৪ সাল ) । ব্যাধি ও প্রতিকার শ্রাবণের [ ১৩১৪ ] ‘প্রবাসীতে রবিবাবুর ব্যাধি ও প্রতিকার শীর্ষক প্রবন্ধটি পড়িয়া ষে কয়টা কথা মনে হইল, তাহাই লিখিতেছি । বলা বাহুল্য যে, প্রতিবাদ আমার উদ্বেগু নহে। দু-বৎসর ধরিয়া মাতামতির পর কতকটা স্বায়বিক অবসাদে, কতকটা ইংরেজের দ্রুকুটিদর্শনে আমরা এখন ঠাগু হইয়া পড়িতেছি। রবিবাবুও সময় বুঝিয়া আমাদিগকে বলিতেছেন, মাতামাতিতে বিশেষ কিছু হইবে না, এখন কাজ কর। অাজ যিনি আমাদিগকে অস্ফিালনে ক্ষান্ত হইবার জন্য উপদেশ দিতেছেন, বাঙ্গালার ইতিহাসে এই নৃতন অধ্যায়ের আরম্ভে আমি তাহারই কৃতিত্ব দেখিতে পাইতেছি। ইংরেজের নিকট আবেদন নিবেদন’ করিয়া তাহার প্রসাদ গ্রহণ করিলে কিছুষ্ট স্থায়ী লাভ হইবে না, ইংরেজের মুখাপেক্ষা না করিয়া আপনার বলে ও আপনার চেষ্টাঙ্ক যেটুকু পাওয়া যায়, তাহাই স্থায়ী লাভ, বঙ্গবিভাগের বহু পূৰ্ব্ব হইতেই