পাতা:রামেন্দ্রসুন্দর রচনাসমগ্র প্রথম খণ্ড.djvu/৪৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্যাধি ও প্রতিকার 8>4 বার আনার অধিকও হিন্দু থাকিয় গেল। মুসলমান হিন্দুর পার্থে বাস করিয়া ভারতবাসী হইলেন এবং ধৰ্ম্ম ও আচার বিষয়ে উৎকট বিদ্বেষের কারণ বর্তমান থাকিলেও হিন্দুকে ক্ষমা করিতে ও শ্রদ্ধা করিতে শিখিলেন । ইহা ঐতিহাসিক সত্য যে, মুসলমান হিন্দুকে কেবল ক্ষমা করেন নাই, কেবল সহিয়া লন নাই, তিনি হিন্দুকে শ্রদ্ধা করিতে শিখিয়াছিলেন। ভারতবর্ষে মুসলমান রাজত্বের ইতিহাস বিশেষতঃ মোগল সাম্রাজ্যের ইতিহাস ইহার সাক্ষী । এই ক্ষম ও শ্রদ্ধার বীজ তাহার ধৰ্ম্মেৰ মূলমধ্যে বৰ্ত্তমান ছিল, নতুবা বাগদাদের খলিফাগণের রাজসভায় আমরা গ্রীক ও হিন্দুর দর্শন ও বিজ্ঞানশাস্ত্র আলোচিত হইতে দেখিতাম না । এইখানে খ্ৰীষ্টানে ও মুসলমানে আকাশ্ম পাতাল ভেদ। খ্ৰীষ্টান রাষ্ট্ৰীয় প্রভূত্ব হাতে পাইবামাত্র গ্রীক জাতির অতুল্য প্রতিভাজিত বিদ্যাস পত্তিকে ধ্বংসমুখে প্রেরণের চেষ্টা করিয়াছিল , ক্ষুদ্র গ্রীস ও বৃহৎ গ্রীসের যেখানে যেখানে গ্রীকবিদ্যার আলোচনা হইত, সেই সমুদয় বিদ্যামন্দির ধ্বংস করিয়া ইউরোপ হইতে জ্ঞানের আলোক একবাবে নিবাইয়। দিয়াছিল" আব মুসলমান তাহাব ধৰ্ম্মপ্রচাবকেব তিবোভাবের পব শত বৎসর যাইতে না যাইতে খ্ৰীষ্টানের নিৰ্ম্মিত সমাধির BB BB BBB BB KzBB BBBB BBBB BBBBB BBB BBS BBB B ইসলামের সোনার কাঠ ঠেকাইয়া, তাহাকে পুনরুজ্জীবিত করিয়াছিলেন । মুসলমান গ্রীকবিদ্যাকে বাচাইয়াছিলেন, তাই আজিকার খ্ৰীষ্টানেরা গ্ৰীকসভ্যতার ভিত্তির উপর আপন সভ্যতা গঠনের অবকাশ পাইয়া ধন্য হইয়াছেন । ধৰ্ম্মগত ও আচারগত উৎকট পার্থক্য ও পরস্পর বিদ্বেষের হেতু বৰ্ত্তমান সত্বেও হিন্দু মুসলমান পরস্পরকে ক্ষমা ও শ্রদ্ধা করিতে জানেন এবং সেই জন্য ভারতবর্ষে উভয়ের প্রতিরক্ষণ সম্ভব হইয়াছে। ইংরেজ কথায় কথায় বডাই করিয়া থাকেন আমরা চলিয়া গেলেই ভারতবর্ষের হিন্দু মুসলমান পরস্পরের গলায় ছুরি চালাইবে । র্তাহাদের এ বড়াই আমাদিগকে ভুলাইতে পারিবে না । দক্ষিণ দেশে হায়দ্রাবাদে নিজাম মুখ্যতঃ হিন্দুসমাজের উপর আধিপত্য করিতেছেন, আর উত্তর দেশে কাশ্মীরে জম্মুপতি মুখ্যতঃ মুসলমান সমাজের উপর আধিপত্য করিতেছেন , কিন্তু কোথাও ত হিন্দু-মুসলমানে ছুরি চালাচালি শুনিতে পাই না । ইংরেজের প্রভূশক্তি গ্রহণের পূর্বে শত বৎসরের মধ্যে পাঞ্জাব ব্যতীত অন্য কোথাও হিন্দু মুসলমানের পরস্পর ছুরি চালাচালির কথা শুনি না , পাঞ্জাবেও স্বাহ ঘটিয়াছিল, তাহা বিশেষ কারণে । ফলে ভারতবর্ষের হিন্দু মুসলমান উভয়েই পরকে যেমন আপন করিতে জানে, তেমন পৃথিবীর আর কোনও জাতি জানে না ; অন্ততঃ কোন খ্ৰীষ্টান জাতি জানে না। হিন্দু মুসলমান ত এত কাল ধরিয়া এক গ্রামে—এমন কি, এক ঘরের মধ্যে, এক ছাদের নীচে বাস করিয়া আসিতেছেন , কিন্তু খ্ৰীষ্টান কোথায় মুসলমানের সান্নিধ্য সহিয়াছেন, তাহা ইতিহাসে লেখে না। হিস্পানি দেশে মুসলমান, বিদ্যার এবং জ্ঞানের আলোক জালিয়া খ্ৰীষ্টান ইউরোপের বৰ্ব্বরতুর অন্ধকার ঘুচাইবার চেষ্টা করিয়াছিলেন ; আর খ্ৰীষ্টান সেই হিস্পানি দেশে লঙ্কপ্রবেশ হইয়া কি অমাহুষিক অত্যাচার দ্বারা মূব জাতিকে আটলাণ্টিক পার یک-اس-Ti: