পাতা:রামেন্দ্রসুন্দর রচনাসমগ্র প্রথম খণ্ড.djvu/৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

byee রামেন্দ্রম্বন্দর রচনাসমগ্র বাঙ্গালায় দ্বিবচনের চিহ্ন একবারে উঠিয়া গিয়াছে। বহুবচনের বেলায় নিতান্ত কষ্টে কাজ সারিতে হয়। কৰ্ত্তাকারকে বহুবচনের এক মাত্র বিভক্তি রা’— K BYSK BBBS BBB BSBB BBB BBSS S BBB BB BBB KKS B DS স ব, স ক ল প্রভৃতি স্বতন্ত্র পদ যোগ করিয়৷ বহুবচনের বিভক্তির কাজ চালাইতে হয়। কোন কোন বাঙ্গালা ব্যাকরণে ঐ সকল শব্দকেও বিভক্তি-চিহ্ন বলিয়া নির্দেশ করিতে দেখিয়াছি, কিন্তু ইহা নিতান্ত অত্যাচার। প্রাচীন সাহিত্যে দেখিতেছি— ‘অজয়কিনারে সভে ৈব ষ েব র গণে,’ ‘জয়দেব ঠাকুর সঙ্গে বৈ ষ বের গণ’ ;—অতএব গ ণ পৃথক শব্দ, তাহাতে সন্দেহ নাই। কৰ্ত্তা কারক ভিন্ন অন্যত্র বহুবচন নির্দেষের আর একটি কৌশল আছে। যথা, বৈষ্ণ ব দি কে = বৈ ষ ব দি গ েক, বৈ ধ ব দে র = ৈব ফ ব দি গে র । কেহ কেহ বলেন, বৈ ষ ব দে র = বৈ ষঃ বা দি র ; বৈ ষঃ ব দি গে র = বৈ ষ ব দি ক র। এককালে অ : দি শব-যোগে বহুবচন নির্দেশ হইত, স্বার্থে ক’ যোগ করিয়া উহ। অ : দি ক, এই রূপ গ্রহণ করিত। বর্তমান রূপ ঐ প্রাচীন রূপের বিকৃতিমাত্র। কেহ বা বলেন, দি গ বৈদেশিক দি গ র হইতে আসিয়াছে। কিছু দিন পূৰ্ব্বেও বাঙ্গালা সাহিত্যের ভাষায়, আমার দি গে র, মানুষের দি গ কে, এইরূপ, প্রয়োগ ছিল , উহাতে দি গ চিহ্নটি এককালের স্বতন্ত্র পদ ছিল বলিয়া অনুমান করা যাইতে পারে। ঐই প্রশ্নের মীমাংসা আবশ্বক। এখন মোটামুটি এই কয়টি নিয়ম দাড়াইল –(১) কৰ্ত্তায় সাধারণতঃ বিভক্তি-চিহ্ন থাকে না । স্থান-বিশেষে বিভক্তি-চিহ্ন এ', য়, তে। (২) কম্মের বিভক্তি চিহ্ন কোথাও কে’, কোথাও বা রে ; কোথাও বা বিভক্তিচিহ্ন থাকে না। স্থান-বিশেষে চিহ্ন এ', য়। (৩) সন্ধদ্ধ বুঝাইবার চিহ্ন র’, এর । -(৪) অপাদানর বিভক্তি-চিহ্ন নাই । (৫) সম্প্রদানের চিহ্ন কন্ম হইতে অভিন্ন । (৬) করণ ও অধিকরণের চিহ্ন এ’, য়' এবং তে ; কিন্তু ঐ কয়টি চিহ্ন করণ এবং অধিকরণের নিজস্ব নহে, অন্য কারকেও উহাদের প্রয়োগ হয়। এখন জিজ্ঞাসা যে, বাঙ্গালার যখন প্রয়োগরীতি এইরূপ, তখন ব্যাকরণে এতগুলা কারকের কল্পনার দরকার কি ? এই প্রশ্নের উত্তর দিবার পূর্বে একবার সম্প্রদানকারক-ঘটিত বিতণ্ডাটা তোলা আবশ্বক। সংস্কৃতে কারক অর্থগত। যে কৰ্ত্তা, সে কৰ্ত্তাই থাকিবে ; 'র মে ৭ বনং জগাম এ স্থলে প্রথমাস্ত রাম কৰ্ত্ত ; 'র t মে ৭ বনং গতম এ স্থলে তৃতীয়ান্ত রাম ও কর্তা। সংস্কৃতে বিভক্তি-চিহ্ন দেখিয়া কারক নির্ণয় হয় না। আবার নাগ্নিস্তৃপ্যতি ক না ম্–অগ্নি কাষ্ঠে তৃপ্ত হন ন৷ এ স্থলে কাঠ তৃপ্ত্যর্থ ধাতুর যোগে ষষ্ঠস্ত্য হইলেও করণকারক । ‘দ্বি দি ব স স্ত ভুঙক্তে –দিনে দুই বার খায়—এ স্থলে দি ব স ষষ্ঠ্যস্ত হইলেও অধিকরণ । কাজেই সংস্কৃত ব্যাকরণে বিভক্তি দেখিয়া কারকের নিরূপণ হয় না, অর্থ দেখিয়া কারক নিরূপিত হয়। ‘ দরিদ্র কে ধন দাও" --এই বাক্যে দরিদ্রের বিভক্তি কন্মের বিভক্তির সহিত অভিন্ন হইলেও ত্বরিক্স ৰখন