இ রাম-অভিষেক নাটক । হর্ষ । কুমারি! স্বয়ংব্ৰহ্ম নারায়ণ যখন মরভূমে অবতীর্ণ হয়েছেন, তখন তার শাসিত-রাজ্যে আমরা ব্যতীত আর অধিকার কার? আমাদের ভুরত্ত, পাপাত্মা, খল বৈরীগণের এমন সাধ্য নাই, যে এতদ্দেশে প্রবেশ কোরে আমাদের কোন অনিষ্ট সাধন করে, – আমি যখন শচীপতির সভা পরিত্যাগ কোরে আসি,তখন দেখি না আমার চিরবৈরী বিষাদ মলিন মুখে একটী পৰ্ব্বত বরণ হোতে জলপান কোচ্ছে,-আমার দর্শনে অন্যদিকে দৃষ্টি কোরে রইলো, আমি গৰ্ব্বিত স্বরে বোল্লেম, পরে হ্রষ্ট বিষাদ । আমি ষে যে স্থান অধিকার করি, তুই অচিরে আমার সেইং সুখময় স্থান ভঙ্গ করিস, এইবারে দেখবো যে তোর কিরূপ ক্ষমতা, অযোধ্যাপতির অগ্ৰজকুমার রামচন্দ্রের আজ অধিবাস দিবস,-আদ্য হতে অযোধ্য ও তৎঅধীনস্থ রাজ্য সকল আমার অধীন হোলো, দেখবে তুই কেমন কোরে তষ্মধ্যস্থ একটা দেশেও প্রবেশ করিস - এইমাত্র বোলে আমি অহঙ্কারে পাদবিক্ষেপ কোরে চলে এলেম,-ক্ষণদুর এসে দেখি, ষে লোভ, হিংসা প্রভৃতি অন্যান্য অনুচরগণ সেই পৰ্ব্বতের দিকে যাচ্ছে, আমি আর তাদের দিকে ভ্রুক্ষেপও না কোরে তোমার আবাসের দিকে যাত্রা কোরলেম । শান্তি । দেব ! ওদের যে এবারে সম্পূর্ণরূপে দৰ্পচূর্ণ হলো, তার আর সন্দেহ নাই, ভূরাত্মাগণ কখনই আর আমাদের নিকট আসতে পাৰূবে না, যা হোক , চলুন আমরা একবার সমস্ত অযোধ্য ভ্রমণ কোরে প্রজাগণের আমন্দ বৰ্দ্ধন করে আসিগে, আর সকলে উপস্থিত শুভ কাৰ্য্যানুষ্ঠানে কিরূপ গৃহ সজ্জা করেছে, ও কিরূপ পরিচ্ছদাদি পরিধান করেছে, সেই
