পাতা:রাশিয়ার চিঠি-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

 উত্তর। শুধু লেখা কেন তাদের জন্য আমি কাজ ফেঁদেছি। আমার একলার সাধ্যে যতটুকু সম্ভব তাই দিয়ে তাদের শিক্ষার কাজ চালাই, পল্লীর উন্নতিসাধনে তাদের সাহায্য করি। কিন্তু তোমাদের এখানে যে প্রকাণ্ড শিক্ষাব্যাপার যে আশ্চর্য অল্প সময়ের মধ্যে তৈরি হয়েছে তার তুলনায় আমার এ উদ্যোগ অতি যৎসামান্য।

 প্রশ্ন। আমাদের দেশে কৃষিক্ষেত্রের একত্রীকরণের যে চেষ্টা চলছে সে-সম্বন্ধে তােমার মত কী?

 উত্তর। মত দেবার মতাে আমার অভিজ্ঞতা হয় নি, তােমাদেরই কাছ থেকে শুনতে চাই। আমার জানবার কথা এই যে, এতে তােমাদের ইচ্ছার উপর জবরদস্তি করা হচ্ছে কি না?

 প্রশ্ন। ভারতবর্ষে সবাই কি এই ঐকত্রিকতা এবং সাধারণভাবে এখানকার অন্য সমস্ত উদ্যোগের কথা কিছু জানে না?

 উত্তর। জানবার মতাে শিক্ষা অতি অল্প লােকেরই আছে। ছাড়া তােমাদের খবর নানা কারণে চাপা পড়ে যায়। এবং যা কিছু শােনা যায় তাও সব বিশ্বাসযোগ্য নয়।

 প্রশ্ন। আমাদের দেশে এই যে চাষীদের জন্যে আবাস-ব্যবস্থা হয়েছে, এর অস্তিত্বও কি তুমি আগে জানতে না?

 উত্তর। তােমাদের কল্যাণের জন্য কী করা হচ্ছে মস্কৌএ এসে তা প্রথম দেখলুম এবং জানলুম। যাই হােক, এবার আমার প্রশ্নের উত্তর তােমরা দাও। চাষী প্রজার পক্ষে এই ঐকত্রিকতার ফলাফল সম্বন্ধে তােমাদের মত কী, তােমাদের ইচ্ছা কী?

 একজন যুবক চাষী, য়ুক্রেন প্রদেশ থেকে এসেছে, সে বললে, “দুবছর হল একটি ঐকত্রিক কৃষিক্ষেত্র স্থাপিত হয়েছে আমি তাতে কাজ করি। এই ক্ষেত্রের মধ্যে ফল-ফসলের বাগান আছে তার থেকে আমরা সবজির

২৭