পাতা:রাষ্ট্র সংগ্রামের এক অধ্যায় - শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়.pdf/৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

ভুগতে হবে। যাদের এরা উদ্ধার করতে চেয়েছিলেন, তারা ভেসে অদৃশ্য হয়ে গেল, তাদের আর খোজ পাওয়া যায় নি। সাইক্লোনের পরে সর্বত্র সান্ধ্যআইন জারি হয়েছে—যে সব অঞ্চলের জনগণ পূর্ণ সহযোগিতা করেছে, সে সব অঞ্চলেও এ বিষয়ে আমরা হস্তক্ষেপ করেও কিছু করতে পারি নি। পক্ষাধিক কাল পরে যখন আমরা ঐ জেলা পরিদর্শন করেছিলাম, তখনও যানবাহনের চলাচল ছিল অতিমাত্রায় সীমাবদ্ধ। ভারতরক্ষা-বিধান জারি করে লোকের গরু কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। বন্যা এবং ঝড়ের ফলে যত গৃহপালিত পশু মরেছিল তাদের পরিমাণ শতকরা ৭৫ থেকে ৮৫র মধ্যে হবে। এর পরেও যে গাভী অবশিষ্ট ছিল তার অধিকাংশই—সবৎসা ও দুগ্ধবতী হলেও~-সৈন্যদের ভোজনের জন্য গৃহস্থের বাড়ি থেকে পুলিশ ও সৈন্যরা জোর করে ছিনিয়ে নিয়েছে। এ ধরনের অমানুষিক নিদয়তার সত্যই তুলনা নেই। গনমেণ্টের কাছে লেখা এক রাজপুরুষের বিবরণ থেকে জানা যায়, তার মতে এক মাসের জন্য সরকারি বেসরকারি সব প্রকার ত্রাণকার্য বন্ধ রেখে জনসাধারণকে চিরদিনের মতো একটা শিক্ষা দেওয়া উচিত। স্থানীয় কর্মচারীরা যে ত্রাণকার্যের ব্যবস্থা করেছিলেন, তা ছিল অতি সামান্য। কলিকাতা। থেকে পরিচয়-পত্র সঙ্গে নিয়েও সদিচ্ছাপ্রণোদিত যেসব ত্রাণ-কর্মী গেছলেন, তাদের ভারত-রক্ষা বিধানে গ্রেপ্তার .