পাতা:রাসায়নিক পরিভাষা.pdf/৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ه/و স্বৰ্গীয় অক্ষয়কুমার দত্ত ও ডাক্তার রাজেন্দ্রলাল মিত্রের সময় চাইতে বাঙ্গালী ভাষায় বৈজ্ঞানিক সন্দর্ভ লিখিবার চেষ্ট হইতেছে। এ বিষয়ে উক্ত মহাত্মাদ্বয়ই প্রথম পথপ্রদর্শক। সরল বাঙ্গালা ভাষায় প্রথম বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ লিখিতে ইহাদিগকে যে বিশেষ কষ্ট পাইতে হইয়াছিল, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নাই। ইহারা অধিকাংশ শব্দই ইংরাজির অনুকরণে প্রস্তুত করিয়া লইয়াছিলেন ; যথ, পুরুভুজ, অণুবীক্ষণ, দুরবীক্ষণ, উদজন, শ্বদন্ত ইত্যাদি। ইহার মধ্যে অনেকগুলিই গৃহীত হইয়াছে এবং এগুলি আধুনিক গ্রন্থাদিতে বহুল পরিমাণে ব্যবহৃত হইতেছে। রামেন্দ্র বাবু, যোগেশচন্দ্র রায় প্রভৃতি কেহ কেহ অনেক রাসায়নিক পরিভাষার স্মৃষ্টি করিয়াছেন । এই সমস্ত শব্দের মধ্যে অধিকাংশই নবগঠিত। এই গুলির মধ্যে কোন কোন শব্দ গ্রহণ করা যাইতে পারে, তাহার আলোচনা হওয়া প্রয়োজন। হিন্দু রসায়ন-শাস্ত্রের ইতিহাস প্রণয়নের সময় আমি দেখিতে পাইয়াছি যে, সংস্কৃত গ্রন্থসমূহ হইতে বহু পারিভাষিক শব্দ পাওয়া যাইতে পারে। নূতন শব্দের স্বষ্টি না করিয়া, ইহার মধ্যে অনেক গুলিই আমরা অনায়াসে গ্রহণ করিতে পারি এবং কতকগুলি পূৰ্ব্ব হইতেই চলিয়া আসিতেছে। কয়েকটা উদাহরণস্বরূপ দিতেছি ;– Acid–SH Soapy to touch-fosfgw Antimony—onio Mordant—-atosafo. Amorphous—foot Sulphuric acid—stosis, Rotusto Atom-ali, Destructive distillation—wso বিপাচন Ether—wtoot-tol Distillation apparatus–offSR NG Brittle–san : Laboratory—রসশালা ( রসরত্ন সমুচ্চয় ) Catalytic agent—PēÜRE ইত্যাদি আমরা এমন কথা বলিতেছি না যে, এইগুলি সমস্তই গ্রহণ করিতে হইবে। সংস্কৃত সাহিত্যে কি কি শব্দ পারিভাষিকরূপে ব্যবহৃত হইত, তাহা দেখানই আমাদের উদ্দেশু ও এই সমস্ত শব্দ সম্বন্ধে তর্ক ও আলোচনা প্রয়োজন । আধুনিক ও প্রচলিত সাহিত্য হইতেও অনেক শব্দ গ্রহণ করা যাইতে পারে এবং গ্রহণ করিতে হইবে। Matches বলিতে ‘দীপশলাকা’ বা ‘দিয়াশলাই' লিখিব কিম্বা ‘যোগবৰ্ত্তিকা’ লিখিব মীমাংস করা প্রয়োজন। Scissors বলিতে প্রচলিত ‘র্কাচি’ না লিখিয়া শ্রুতিকটু 'পট্টসন্দংশ লেখা উচিত কি না, তাহাও নির্ণয় করিতে হইবে। আর একটা বিশেষভাবে ভাবিবার কথা এই যে, আমরা সভাসমিতি করিয়া পরিভাষা র্যাধিয়া দিলেও কার্য্যতঃ সেই পরিভাষা কিরূপ ফলদায়ক হইবে, তাহ বলা দুরূহ। ঐ সকল পারিভাষিক শব্দ ব্যবহার করিয়া পুস্তক লিখিলে তবেই উহার দোষগুণ ঠিক বুঝিতে পারা যাইবে । বাঙ্গালা ভাষায় বহুল পরিমাণে বৈজ্ঞানিক পুস্তক লিখিত ও প্রকাশিত না হইলে পরিভাষার দোষগুণ সমাক্রূপে বিচার করা যাইতে পারে না । গ্রন্থকারগণ কতক শব্দ গ্রহণ