পাতা:রিপু-বিহার - মহিমাচন্দ্র চক্রবর্ত্তি.pdf/৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
ভূমিকা

নাই, অতএব অল্পায়াসেই অথেষ্ট পুষ্প সংগ্রহ করিতে সক্ষম হইলাম; কিন্তু অপটুতা-নিবন্ধন কোনটীর বা দল, কোনটীর বা বৃন্ত ছিন্ন হইয়া গেল। তাহাতে ঈপ্সিত কার্য্য সমাধা করিতে, পরাঙ্মুখ না হইয়া ভাব-সূত্র যোগে মালা গাঁথিতে আরম্ভ করিলাম। ইহাতেও নানারূপ ব্যাঘাত ঘটিতে লাগিল, অপেক্ষাকৃত দল, ও বৃন্ত ছিন্ন হইয়াও গেল, এবং অধিকাংশ দলিত হইয়া মধুর গন্ধ তিক্তে পরিণত হইল, ভাব-সূত্রও ফুরাইয়া গেল, সুতরাং মালা সংকীর্ণ, কুৎসিত, ও পূতিগন্ধ বিশিষ্ট এক অপূর্ব্ব পদার্থ হইল। যদিও তাহাতে আমি যৎপরোনাস্তি ক্ষুব্ধ ও দুঃখিত হইলাম তথাপি অধ্যবসায় ভঙ্গ হইল না, কি সেই অপূর্ব্ব মালা সাধারণ সমীপে উপহার স্বরূপে উপস্থিত করিতে অণুমাত্র সঙ্কুচিত হইলাম না, কারণ বঙ্গবাসী বিজ্ঞ জনগণ করুণার্দ্র হইয়া আমার ক্ষোভ ও দুঃখাপনোদনের জন্যই হউক, কি প্রথম উদ্যমে উৎসাহ দানের জন্যই হউক, অথবা রচনার উৎকর্ষাপকর্ষের উপর দৃক্‌পাত না করিয়া কেবল উপকরণ সামগ্রীর উপাদেয়তায় মুগ্ধ হইয়া আমাকে মার্জনা করিলেও করিতে পারেন। সেই সাহসে এই ক্ষুদ্র “রিপু-বিহার” নামক গ্রন্থখানি সাধারণ সমীপে উপহার প্রদান করিতে সাহসী হইলাম। এবং সুধীগণের অভিপ্রায় জানিতেও আগ্রহ সহকারে অপেক্ষা করিয়া রহিলাম।

কলিকাতা
কাশীপুর
১২৭৮ সাল
১লা বৈশাখ

শ্রীমহিমাচন্দ্র চক্রবর্ত্তী।