পাতা:রুষ-জাপানি যুদ্ধের ইতিহাস - নলিনীবালা ভঞ্জ চৌধুরাণী.pdf/১০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

yo রুষ-জাপান যুদ্ধের ইতিহাস । সহ সজল নয়নে গির্জায় গিয়া ভগবানকে ডাকিলেন । তাহার সঙ্গে কৃষ্ণ BDOD iDDD DDBB BBDBDDBBD DB gSS DBBB BDDB কেহই অশ্রািজল সম্বরণ করিতে পারিলেন না । জাপানিগণও জাপানের নগরে নগরে মাকারিফ ও তঁহায় বীর সহযাত্রীগণের জন্য দুঃখ প্ৰকাশ করিতে লাগিলেন। ১৫ই এপ্ৰিল সহস্ৰ সহস্ৰ জাপানিগণ হাজার শ্বেত লণ্ঠন ও পতাকা উত্তোলিত করিয়া এই সকল বীরের জন্য শোক প্ৰকাশ করিতে বহির্গত হইলেন। পতাকায় পতাকায় লিখিত, “আমরা প্ৰাণের সহিত বীর মা কারফের জন্য শোক প্ৰকাশ করিতেছি?” । যে জাতি শক্রির বীরত্বোব এত আদর করিতে জানে, সে জাতি বড় হইবে না কেন ? আড়ামিরাল মাকারফেব। মৃত্যুর পর স্বয়ং গভর্ণব জেনাবেল আলেক্‌জিফ রুষের যুদ্ধপোতের সেনাপতি পদ গ্ৰহণ করিয়া পোর্ট আর্থারে বাস করিতে লাগিলেন। সম্রাটও তাহার বিখ্যাত জলযোদ্ধা আড়ামিরাল স্ক্রিডলফকে মাকারফের স্থানে নিযুক্ত করিলেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় যে তিনি মুখে নানা বড় বড় কথা বলা সত্বেও, প্ৰায় এক সপ্তাহ পৰ্যন্ত দূর পোর্ট আর্থারে গমনের কোন বন্দোবস্ত করিলেন না। এদিকে টোগো ক্ৰমান্বয়ে তিন দিন দুর্গে গোলা বৃষ্টি করিতে লাগিলেন। মাকরফের মৃত্যুর পর জাপানিগণ সে দিন দূর সমুদ্রে গিয়া নাঙ্গর করিয়াছিলেন। পর দিন। ১৪ই এপ্রিল টোগো তাহার অনেকগুলি যুদ্ধপোত পোর্ট আর্থারের দিকে প্রেরণ করিলেন। ইচ্ছা যে আবার রূৰ্য জাহাজ এই সকল জাপানী যুদ্ধপোত তাড়া করিয়া আসুক, কিন্তু রুষগণ সাবধান হইয়া গিয়াছেন,-তাহারা বন্দর পরিত্যাগ করিলেন না। ;-এমন কি তঁাহাবা। আর অনর্থক দুর্গ হইতে গোলাও চালাইলেন না ! পর দিন টােগো সমস্ত যুদ্ধপোত লইয়া দুর্গের নিকটস্থ হইলেন। , তিনি রুষদিগের তিনটী “মাইন” ধূত করিয়া নষ্ট করিয়া দিলেন তৎপরে