পাতা:রুষ-জাপানি যুদ্ধের ইতিহাস - নলিনীবালা ভঞ্জ চৌধুরাণী.pdf/১১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

brš রুষ-জাপান যুদ্ধের ইতিহাস। গয়া মারু নামে একখানি ক্ষুদ্র জাপানী জাহাজ ছিল ; রুষগণ এই, ক্ষুদ্র জাহাজ জলমগ্ন করিয়া তৎক্ষণাৎ এ,বন্দর ত্যাগ করিয়া চলিয়া গেলেন। এইরূপ পলায়নের এক বিশেষ কারণ ছিল । রুষগণ জাপানী জাহাজের একটা তারশূন্য টেলিগ্ৰাফ নিজ জাহাজস্থ তারশূন্য টেলিগ্রাফ যন্ত্রে ধরিয়া ফেলিলেন। তাহারা এই টেলিগ্ৰাফ পড়িতে পাবিলেন না। সত্য, কিন্তু বুঝিলেন যে জাপানী জাহাজ নিকটে আসিয়াছে। তাহাই তাহারা সত্বর জেনসান ত্যাগ করিয়া পলাইলেন। সমুদ্রে সে দিন অতিশয় কুয়াশা হইয়াছিল ; তাহাই রুষদিগের সৌভাগ্যক্রমে জাপানিগণ নিকটে আসিয়াও রুষগণকে দেখিতে পাইলেন না। যদি দেখিতে পাইতেন, তাহা হইলে, নিশ্চয়ই রুষ-জাপান যুদ্ধ আর এক নূতন ভাব ধারণ করিত। কামিমুৱা ক্লাষ-জাহাজ দেখিতে না পাইয়া অপরদিকে চলিয়া গেলেন। তখন রুষ-জাহাজ কয়খানি কোরিয়ার তীবে তীবে ভুডিভস্টকের দিকে গমন করিতে লাগিল। এই সময়ে পথে কিনম্ন মারু নামে একখানি জাপানী জাহাজ সৈন্য লইয়া জোনসানে যাইতেছিল। রুষ-জাহাজ সকল তখনই তাহাকে দণ্ডায়মান হইতে আজ্ঞা করিল ;-পলায়নের উপায় নাই দেখিয়া জাপগণ তাহদের জাহাজ দণ্ডায়মান করিল। তৎপবে। জাহাজের কাপ্তেন জন কয়েক সেনানী লইয়া রুষের রোসিয়া জাহাজে গমন করিলেন। রুষগণ তৎক্ষণাৎ তঁহাদিগকে বন্দী করিলেন, তৎপরে জাহাজস্থিত জাপানিগণকে বলিলেন যে, যদি এক ঘণ্টার মধ্যে তাহারা আত্মসমৰ্পণ না করে, তবে তাহাদিগেব জাহাজ। রুষগণ বিনা দ্বিধায় সমুদ্র গর্ভে প্রেরণ করিবেন। জাপানিগণ প্ৰাণ থাকিতে শক্ৰ হস্তে আত্মসমৰ্পণ করিতে অসম্মত হইলেন। কেবল একজন লেফটেনাণ্ট সাত জন যোদ্ধা লইয়া রুষদিগের সহিত যুদ্ধ করিতে চলিলেন। তখন জাপগণ ডেকের উপর উঠিয়া রুষদিগের উপর গুলি চালাইতে লাগিল ;- রুষগণও নীর বিরহিল না। উভয় পক্ষেই অনেকে হত্য ও আহত হইল ।