পাতা:রুষ-জাপানি যুদ্ধের ইতিহাস - নলিনীবালা ভঞ্জ চৌধুরাণী.pdf/১১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

eta می S স্থাপন করিয়াছেন, রুষগণ তাহ দেখিতে পাইয়া পরদিন সে গুলি নষ্ট করিয়া দিল । এ পৰ্য্যন্ত আর কোন রূপেই প্রলোভিত করিয়া টোগো রুষ-জাহাজকে বন্দর হইতে বাহিবে আনিতে পারিলেন না ; অথচ তিনিও তাহার জাহাজগুলি পোর্ট আর্থব দুর্গেব গোলার সম্মুখে আনিতে সাহস করিাতেছেন না! জুলু নদীর তীরে জাপানিগণ কি বন্দোবস্ত করিতেছেন, তাহার প্ৰত্যেক সংবাদ যথা নিয়মে আডমিবাল টোগোর নিকট আসিতেছে। সেখানে চারিদিক হইতে অবাধে সৈন্য লইয়া যাইতে না পারিলে, কখনই জাপানের রুষকে পবাজিত কবিবাব আশা নাই। কিন্তু এ কাৰ্য্য করিতে হইলে, প্ৰথমে রুষ-জাহাজগুলিকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করা আবশ্যক ; অথবা তাহারা যাহাতে আর কোনরূপে বন্দব হইতে একেবারে বাহির হইতে না পারে, তাহাই করা প্রয়োজন। তাহারা সক্ষম থাকিলে বা বাহিরে আসিতে পারিলে, জাপানকে কিছুতেই তাহারা অবাধে। ইচ্ছামত যথায় তথায় সৈন্য লইয়া যাইতে দিবে না। টোগোকেও হস্ত পদ বদ্ধ হইয়া পোর্ট আর্থারের পাহাবায় থাকিতে হইবে। ইহাতে পোর্ট আর্থার দখল হইবে না। ;-তিনি অন্যত্র যুদ্ধেব কোন সাহায্যও করিতে পরিবেন না । তিনি জানিতেন যে যদি রুষ-জাহাজ সকল বন্দব ত্যাগ করিয়া বাহিরে আইসে, তাহা হইলে তিনি অবাধে সকলগুলিকে সমুদ্রের গভীর গর্ভে প্রেরণ করিতে পারেন; কিন্তু রুষগণ কিছুতেই বন্দরের বাহির হইতেছে না ; সুতরাং বন্দরের মুখ সম্পূর্ণ বন্ধ করিয়া দিয়া তাহাদিগকে বন্দরে আটক রাখা ব্যতীত আর দ্বিতীয় উপায় নাই! অথচ আর বিলম্ব করিলেও কাৰ্য্য পণ্ড হইবে। জুলু নদী পার হইবার সমস্ত আয়োজন করিয়া জাপানিগণ কেবল টোগোর অপেক্ষা করিতেছেন । তজ্জন্ত জাপানী বীর বন্দরের মুখ বন্ধ করিবার মহা আয়োজন করিলেন। শোনা যায়