পাতা:রুষ-জাপানি যুদ্ধের ইতিহাস - নলিনীবালা ভঞ্জ চৌধুরাণী.pdf/১২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জুলুতীয়ে আয়োজন। NOVO). সন্ধ্যার সময় একখানি প্যাসেজার গাড়ী অনেক যাত্রী লইয়া পোর্ট আর্থার হইতে ছাড়িল। এই গাড়ী হলানটিন নামক ষ্টেসনের নিকটবৰ্ত্তী হইলে, একজন কসাক ছুটিয়া আসিয়া বলিল, “ফিরে যাও,-ফিরে যাও ;- জাপানিরা আসিয়াছে।” কিন্তু গাড়ী প্ৰত্যাবৃত্ত কবা যুক্তি সঙ্গত বিবেচনা না করিয়া, গার্ড গাড়ী চালাইবার আজ্ঞা দিলেন। প্ৰায় দেড় মাইল গাড়ী আসিলে দেখা গেল, কতকগুলি জাপানী সৈন্য এক উচ্চ স্থানে দণ্ডায়মান বহিয়াছে; তাহারা গাড়ী দেখিয়াই গুলি ছুড়িতে আরম্ভ করিল। কিন্তু স্মাত্রীগণ এই সময়ে গাড়ীর নিম্নে শুইয়া পড়িয়াছিলেন,-তাহাই কাহারও কিছু অনিষ্ট হইল না,-গাড়ী তীরবেগে জাপানিদিগেব নিকট হইতে দুবে গিয়া পড়িল। জাপানিগণ দুই এক স্থানেব বেল তুলিয়া ফেলিয়া দিয়াছিল, —কিন্তু করুষগণ তাহ আবাব শীঘ্রই মেবামত কবি যা ফেলিল। সেনাপতি কুরোপাটকিন স্বযং লিওযাংয়ে আসিয়া বাস কবিতে লাগিলেন। এক্ষণে জাপানিগণ দুই স্থানে রুষদিগেব সহিত যে স্থলযুদ্ধ কবিবে, তাহাতে আব্ব কাহাবই সন্দেহ রহিল না। এক জুলু নদীব তীবে-অপব নানসানে, --পোর্ট আর্থাবেব পশ্চাতে। এক্ষণে সমস্ত পৃথিবীব দৃষ্টি এই দুই স্থানে পতিত্ব হইল। " উনবিংশ পরিচ্ছেদ । জুলুতীরে আয়োজন। রুষগণ প্ৰায় ৩০ হাজার সৈন্য জুলু নদীর তীবে সমবেত করিয়াছেন। প্রত্যহ আবও আসিতেছে । কিন্তু তাহদের পশ্চাতে রেল থাকা সত্বেও বসদের টানাটানি পড়িতেছে ;-ইহাই তাহদের বিশেষ অসুবিধা । তবুও রুষ যথাসাধ্য রসদ সংগ্ৰহ করিয়া, ক্রমান্বয় সৈন্য জুলু নদীর তীরে প্রেরণ