পাতা:রুষ-জাপানি যুদ্ধের ইতিহাস - নলিনীবালা ভঞ্জ চৌধুরাণী.pdf/১২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ର8 রুষ-জাপান যুদ্ধের ইতিহাস । করিতেছেন। জাপানি সেনাগণও অনেক কষ্টে বরফ ও কর্দম ঠেলিয়া, নদীর তীরে আসিয়া সকলে সমবেত হইয়াছে। সহস্ৰ সহস্ৰ কুলি পিংযাং এবং চোংজে হইতে পৃষ্ঠে রসদ প্ৰভৃতি লইয়া ধারাবাহিক রূপে উইজুতে আসিতেছে। ইহাদের সঙ্গে শ্রেণীবদ্ধ হইয়া “পনটুন ট্রেন” চলিয়াছে। এই সকল পনচুন সাহায্যে নদীর উপব ভাসা পোল নিৰ্ম্মাণ করিয়া, তাহার উপর দিয়া সৈন্য পারাপার করাই, ইহাদের প্রধান উদেশ্য। কিন্তু জাপানিরা এই পনীটুন ব্যাপারে যে সুকৌশল প্ৰদৰ্শন করিলেন, তাহা व्रजडा छेद ब्रांझां* ७ अभिब्रिक (qश्न७ श्रद्धन नाशे । জাপানী পনচুনগুলি কাষ্ঠ ও ক্যাম্বিস কাপড়ে নিৰ্ম্মিত। ইহাবা ২৪ ফিট দীর্ঘ ও ৪ ফিট প্ৰস্থ। প্ৰত্যেকটা ৫৫০০ পাউণ্ড ভারি দ্রব্য লইয়া জলেব উপর ভাসিয়া থাকিতে পাবে। এই সকল পনচুন সাবি সারি ভাসাইয়া কয়েক মিনিটেব মধ্যেই তাহাব উপর কাষ্ঠ ফেলিয়া সুন্দব পোল নিৰ্ম্মিত হইতে পারে। জাপানিগণ এই পনীটুন কত কাজে লাগাইয়াছিলেন, শুনিলে বিস্মিত হইতে হয় । এই এক একটী জাপানী পানীটুনকে দুই ভাগে বিভক্ত করিতে পাবা যায়। তখন এই দুইটী দুইখানি সুন্দর নৌকা হইয়া পড়ে। এই নৌকায় অনায়াসে নদীর উপর দিয়া বেশ গমনাগমন কবিতে পাবা যায় ! আবার এই প্ৰত্যেক নৌকা তিন ভাগে ভাগ করা যাইতে পাবে। তখন ইহারা তিনটী বড় বড় মুখ খোলা বাক্স হয়। এইরূপ দুই বাক্স এক একটী ঘোড়ার পৃষ্ঠে দুই দিকে ঝুলাইয়া দিয়া জাপানী সেনাগণ এই সকল বাক্সে তাহদের রসদ প্ৰভৃতি লইয়া চলিল ! এমন সুন্দর সুবন্দোবস্ত আর কোন যুদ্ধে কখনও দেখা যায় নাই । এই জন্যই জাপানোব রসদের কোন অভাব বা অসুবিধা নাই। জাপান হইতে জাহাজ জাহাজ রসদ ও যুদ্ধ উপকরণ ধারাবাহিকরূপে চিনামূপে বন্দবে আসিতেছে। তথা হইতে তাহারা পিংযাংয়ে মজুত হইতেছে। প্রয়োজন মত সমস্তই জুলুতীরে উইজুতে আসিয়া পৌঁছি