পাতা:রুষ-জাপানি যুদ্ধের ইতিহাস - নলিনীবালা ভঞ্জ চৌধুরাণী.pdf/১২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জুলুতীরে আয়োজন । { তেছে! নদী পারের সমস্ত বন্দোবন্তই স্থির। ষাট বৎসরের বৃদ্ধ হইলেও জাপানী সেনাপতি কুরোকি মহাবীর,-তাহার অধীনস্থ জাপগণ টোগোর যোদ্ধাগণের বীরত্বের সংবাদ পাইয়া যুদ্ধের জন্য উন্মত্ত হইয়া উঠিয়াছে। সেনাধ্যক্ষগণ অতি কষ্টে তাহাদিগকে স্থির রাখিয়াছেন। উভয় পক্ষই যথেষ্ট যুদ্ধের আয়োজন করিতেছেন ;-উভয় পক্ষই হালন স্থানে কামান স্থাপিত করিয়াছেন । কিন্তু সেই সকল কামান কোন পক্ষ কোথায় স্থাপিত করিয়াছেন, তাহাই জানিবার জন্য উভয় পক্ষ ব্যাকুল হইয়া উঠিলেন ; কিন্তু জাপানিগণ তঁহাদের যুদ্ধ সজ্জা এতই গোপনে বাখিয়াছিলেন যে রুষগণ র্তাহাদেব বন্দোবস্তেব কিছুই অবগত হইতে পাবিলেন না । রুষগণ একদিন চারিখানা নৌকায় সৈন্য বোঝাই করিয়া পর পারেব দিকে পাঠাইলেন। র্তাহারা ভাবিয়াছিলেন যে এই সকল নৌকা দেখিলেই জাপানিগণ গোলা চালাইবোঁ,-তাহা হইলেই তাহাবা তাহদের কামান কোথায় স্থাপিত করিয়াছে, তাহ অনায়াসে জানিতে পাবা। যাইবে } কিন্তু বিচক্ষণ কুবোকি এ চাতুরীতে ভুলিলেন না ; জাপানের একটি কামানও গজ্জিল না ; কেবল একদল পদাতিক নদীর তীরে গিয়া দাড়াইল। নৌকা নিকটস্থ হইলে, তাহাবা নৌকার উপর অবিশ্রান্ত গুলি চালাইতে আরম্ভ করিল। তখন এই নৌকাস্থিত রুষকে রক্ষা করিবার জন্য রুষগণ গোলা ঢাসাইতে বাধ্য হইলেন। ইহাতে রুষ কোথায় কামান স্থাপন করিয়াছে, জাপানিগণই তাহ জানিয়া লইলেন। বুদ্ধিতে রুষ এখানেও জাপানী বুদ্ধির নিকট পরাজিত হইলেন। উইজুর সম্মুখে জুলু নদী তিন মাইল বিস্তৃত ; কিন্তু নদীবক্ষে বড় বড় তিনটী দ্বীপ গঠিত হওয়ায়, নদী এই স্থানে তিন শাখায় বিভক্ত ইহাদের দুইটী শাখা বুক সমান জল ঠেলিয়া হঁটিয়া পার হওয়া যায় ; কিন্তু অপরটিতে পোল নিৰ্ম্মাণ না করিলে পারাপা বের উপায় নাই। রুষ