পাতা:রুষ-জাপানি যুদ্ধের ইতিহাস - নলিনীবালা ভঞ্জ চৌধুরাণী.pdf/১৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ওকুর অভিযান । 80 তাহারা অগ্রসর হইয়াছিলেন। এবারও তাহারা ঠিক সেইরূপই করিলেন। রুষগণ রণে ভঙ্গ দিলে, তাহারা যুদ্ধক্ষেত্রেই রাত্রি যাপন করিলেনऊँीश्icलब cकांन दिशम बारडड नॉहै। পরদিন সেনাপতি ওকু মৃতদিগের সমাধি দিলেন। আহতদিগকে পশ্চাতে হাসপাতালে প্রেরণ করিলেন । জাপানিগণ সসন্মানে রুষ মৃতদেহেরও সমাধি ক্রিয়া সমাপন করিলেন। সমস্ত বন্দোবস্ত স্থির হইলে, তখন ওকু আবার সসৈন্যে অগ্রসর হইলেন। রুষগণ পলাইয়া তেলিনু ও লিওযাংয়ের মধ্যস্থিত কাইচো নামক স্থানে আসিয়া সমবেত হইয়াছিল। স্বয়ং সেনাপতি কুরোপাটুকিনি এই স্থানে আসিয়া ভগ্নোদ্যম সেনাগণকে উৎসাহ প্ৰদান করিয়া গেলেন। তিনি সকলকে সম্বোধন করিয়া বলিলেন, “আমরা শীঘ্রই জাপানের যুদ্ধপিপাসা মিটাইয়া দিব। যদি আমরা এ কাৰ্য্যে সক্ষম না হই, তাহা হইলে আমাদের দেশে ফিরিবার আর মুখ থাকিবে না।” ওকু এক্ষণে এই কাইচোর দিকে অগ্রসর হইলেন। তিনি এতই ধীব গতিতে যাইতেছিলেন যে ২১শে জুন,--যুদ্ধের ছয় দিন পরে,-তেলিহু হইতে, কাইচোর দিকে কেবলমাত্র ৩০ মাইল অগ্রসর হইলেন । এইরূপ অতি ধীয়ভাবে গমনের ওকুর কতকগুলি বিশেষ উদ্দেশ্য ছিল। প্রথমতঃ, এক্ষণে দিন রাত্রি বৃষ্টি হইতেছে ;-এদেশে বর্ষা নামিয়াছে। দ্বিতীয়তঃ, সেনাপতি যেমন অগ্রসর হইতেছেন, তেমনই তিনি পশ্চাতে নানা স্থানে সৈন্ত স্থাপন করিতেছেন। তিনি সমুদ্রের পার্শ্ব দিয়া যাইতেছিলেন। সমুদ্রতীরে নানা বন্দর,-পোর্ট আর্থারে রুষ রণপোত আবদ্ধ-সুতরাং এই সকল বন্দরে রসদ লইয়া জাপানী জাহাজ নিরাপদে আসিতেছিল,- ওকুর কিছুরই অভাৰ হইবার সম্ভাবনা ছিল না। এই দুই কারণ ব্যতীতও তাহার এইরূপ ধীরে অগ্রসর হইবার দুই কারণ ছিল। আমরা পূর্বেই দেখিয়াছি, কুরোকি ফেংহাংচেংয়ে শিবির সন্নিবেশ