পাতা:রুষ-জাপানি যুদ্ধের ইতিহাস - নলিনীবালা ভঞ্জ চৌধুরাণী.pdf/১৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Yby রুষ-জাপান যুদ্ধের ইতিহাস। পারেন নাই। তাহারা নানাদিকে নানারূপ জাপানিদিগের অনিষ্ট করিয়া বেড়াইতেছে। এই দুই মাস সমুদ্রে ও পোর্ট আর্থারে কি হইতেছে, এক্ষণে তাহাই আমরা দেখিব । , পঞ্চত্রিংশ পরিচ্ছেদ । नभूल्य दCश्वक । সেনাপতি শুকু, নজু ও কুরোকি যেমন স্থল-যুদ্ধে নিযুক্ত ছিলেন,- তাহাদের এক দিনের জন্যও বিশ্রাম ছিল না,-তেমনই সমুদ্র বক্ষে আড়ামিরাল টোগোরও মুহুর্তের জন্য বিশ্রাম ছিল না । তিনি প্রায়ই মধ্যে মধ্যে পোর্ট আর্থার আক্রমণ করিয়া চুৰ্ণ বিচুর্ণ করিতেছেন ;-আর ডালানির সন্মুখস্থ সমুদ্র হইতে রুষদিগের “মাইন” দূর করিতেছিলেন। ” কেবল ইহাই নহে, তিনি ভুডিভস্টকের রুষ-রূণপোত কয়খনি ধ্বংস করিবার জন্য কয়েকখানি জাহাজ সহ আড়ামিরাল কামিমুৱাকে প্রেরণ করিয়াছেন। কিন্তু শত চেষ্টায়ও কামিমুৱা এই সকল ক্লষ-রণপোতের সন্ধান এ পর্যন্ত পাইলেন না। মাকারফের মৃত্যু হইলে রুষ-সম্রাট তাহার স্থলে আভুমিরাল ক্রিডলফকে প্রেরণ করিয়াছিলেন। তঁহার সঙ্গে ভুড়িভস্টক রণপোতের ভার লাইতে আসিলেন আড়ামিরাল বেজেব্রাজক । আডমিরাল স্ক্রিডলফ পোর্ট আর্থারে আসিয়া রুষের যুদ্ধপোত সকল মেরামত ও সমুদ্র হইতে জাপানি “মাইন” নষ্ট করা কাৰ্য্যে মনোনিবেশ করিলেন। আর বেজেব্রাজক ভুডিভস্টকে উপস্থিত হইয়াই ১২ই জুন সমস্ত জাহাজের নজর তুলিলেন। জাপানিগণ যাহাতে আর জাপান হইতে জাহাজে করিয়া সৈন্য লইয়া যাইতে না পারে, তাহাই তাহার ইচ্ছা। ৫ই তারিখে তাহারা দুইখানি জাপানী জাহাজ দেখিতে পাইলেন ;