পাতা:রুষ-জাপানি যুদ্ধের ইতিহাস - নলিনীবালা ভঞ্জ চৌধুরাণী.pdf/২০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

छात्राम-जमूछ ब्रम्ष । Sv) তখন একটা মহা হুলুস্থল পড়িয়া গেল। সকলেই বলিতে লাগিলেন, “রুষ ঘোর অন্যায় করিয়াছেন।” টোকিওস্থিত ইংরেজ-দূত সার ক্লড ম্যাকডোনাল্ড এ সম্বন্ধে বিশেষ অনুসন্ধান আরম্ভ করিলেন। সকলে উৎকণ্ঠিত,-কোনদিন রুষ-ইংবাজে যুদ্ধ বাধে ! যদি তাহা হয়, তবে ভয়াবহ কাণ্ড হইবে ! সমস্ত ইয়োরোপ দুই ভাগে বিভক্ত হইয়া ধরা ক’ব-শোণিতে প্লাবিত কবিবে। ! রুষগণ বলিলেন যে “নাইট কমাণ্ডার” প্ৰথমে তঁহাদের আজ্ঞা অগ্ৰাহ কবিয়া চলিয়া যাইতেছিল--রুষগণ চাবিটী গোলা নিক্ষেপ করিলে তবে সে দণ্ডাযমান হয় । আর তাহাতে বিস্তাব বোল-সবঞ্জাম ছিল,-এ অবস্থায় তাহাবা ন্যান্যাসঙ্গত জাহাজ ধৃত কবিতে পাবেন -কিন্তু তাহার উত্তবে সকলে বলিলেন যে এইরূপ জাহাজ ধৃত কবা যায়। কিনা, তাহ রুষ-রণতরীর সেনাধ্যক্ষগণ কখনই বিচাবি করিতে পাবেন না। ;-তাহারা জাহাজ বন্দবে। লাইয়া যাইতে বাধ্য । সেখানে ইহার বিচাব হইত,-ৰ্তাহাদের ইচ্ছামত ৰে কোন জাহাজ ডুবাইয়া দিতে তাহারা পারেন না। ইহার উত্তবে রুষ বুলিলেন যে এই জাহাজ বন্দরে লইয়া যাইবাব মত ততলোক তাহদেৰ জাহাজে ছিল না । যাহা হউক। এ বিষয় লইয়া সমস্ত ইয়োরোপে এক মহা আন্দোলন উত্থিত হইল । এমন কি ভয়াবহ ইয়োরোপীয় যুদ্ধ হইবারও সম্ভাবনা ঘটিল। রুষগণ যে কেবল ইংবাজের জাহাজ ডুবাইলেন, তাহা নহে। জাৰ্ম্মান ষ্টিমাব “থিৰা৷” মাছ লইয়া জাপানী বন্দর ইয়োকোহামায় যাইতেছিল , , স্বাক্ষগণ ‘নাইট কমাণ্ডারের” ন্যায় এই জাহাজও ডুবাইয়া দিলেন। বলিলেন যে মাছ সৈন্যগণেৰ আহারীয় দ্রব্য, সুতরাং ইহা যুদ্ধোপকরণ,--এই জন্য তাহারা আইনানুসারে এ জাহাজ ধৃত করিতে পারেন। তবে এই জাহাজ ভুডিভস্টকে পাঠাইবার মত তত লোক তাহদের সঙ্গে ছিল না।-- তাহাঁই তাহারা এ জাহাজও ভুৰাইতে বাধ্য হইলেন। ANO