পাতা:রুষ-জাপানি যুদ্ধের ইতিহাস - নলিনীবালা ভঞ্জ চৌধুরাণী.pdf/২২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

छूने फ़िल्ब । Rò ) সতী স্বামীর অনুগমন করিতে দৃঢ়প্ৰতিজ্ঞ হইল। সে আত্মীয় স্বজন DBB DDD DDBBD S BBDKS DB Siii BB BD DDD হইল,-তাহার স্বামীর ছবি সম্মুখে স্থাপিত, করিয়া জানু পাতিয়া উপবিষ্ট হইল,-তৎপরে সে আনন্দিত চিত্তে নিজের গলা নিজে কাটিয়া হেরিকেরি করিয়া স্বামীর অনুগমন করিল!” যে দেশে এরূপ পাতিব্ৰত্য- সে দেশে বীবের অভাব হইবে কেন ? এ কাজ কেবল সতী ওহারু করিয়াছিল,-এরূপ নহে! নানা স্থানেই এইরূপ লোমহর্ষণ ব্যাপার ঘটিতেছিল। প্ৰত্যহ জাপানের বিভিন্ন মন্দিরে যে সকল জাপানী স্ত্রীলোকগণ যুদ্ধে স্বামী হারাইয়াছে, তাহারা সাষ্টাঙ্গে প্ৰণত হইতেছেন—তাহারা মন্ত্র পাঠ কবিয়া নিজ নিজ কেশ কাটিয়া বৈধব্যের চিহ্ন ধারণ কবিতেছেন এবং শপথ লইতেছেন যে তঁাহারা আব্ব পুনরায় কখনও বিবাহ করিবেন না ! কেবল ইহাই নহে! তাহারা এই পাতিব্ৰত্যের সহিত অতুলনীয় স্বদেশপ্ৰেমও প্ৰদৰ্শন করিতেছেন । তাহদের এই পরিত্যক্ত কেশ তাহারা ফেলিয়া দিতেছেন না। ;-ইহা মন্দিরে অতি যত্নে রক্ষিত হইতেছে। যখন যথেষ্ঠ পরিমাণ কেশ সংগৃহীত হইতেছে, তখন তাহা দ্বারা দড়ি প্ৰস্তুত হইতেছে ;-কেশে নিৰ্ম্মিত দড়ির ন্যায় শক্ত, কঠিন ও সুদৃঢ় কোন দড়িই হয় না। সেই সকল দড়ি যুদ্ধক্ষেত্রে কামান প্ৰভৃতি টানিবার জন্য প্রেরিত হইতেছে। পুরুষগণ চাস বাস, ব্যবসা বাণিজ্য ত্যাগ করিয়া যুদ্ধক্ষেত্রে চলিয়া গিয়াছে, কেবল স্ত্রীলোকগণই গৃহে আছে ; সুতরাং সকল দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত গৃহেই অর্থকষ্ট উপস্থিত হইয়াছে! অনেক গৃহে এমন কি অৰ্দ্ধাহায় আরম্ভ হইয়াছো-কিন্তু এই সকল অসহনীয় শোক দুঃখের কথা জাপানী স্ত্রীলোকের কণ্ঠ হইতে এক দিনের জন্যও বহির্গত হইতেছে না। ;- সকলেই দেশের জন্য কষ্ট স্বীকায় করিতে প্ৰস্তুত । তাহদের কষ্ট হয়