পাতা:রুষ-জাপানি যুদ্ধের ইতিহাস - নলিনীবালা ভঞ্জ চৌধুরাণী.pdf/২৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উলফহিল যুদ্ধ। RGk হটিয়া পোর্ট আর্থারের দিকে যাইতে লাগিল। তখন “বানজাই” শব্দে জগৎ কঁপাইয়া জাপগণ উলফহিল পাহাড় অধিকার করিল। এখন এই পাহাড় হইতে গোলা চালাইয়া তাহারা বন্দরস্থ রুষ-জাহাজ অনায়াসে ধবংস করিতে পরিবেন । এই যুদ্ধে যে বহু সহস্ৰ জাপানী প্ৰাণ দিয়াছিল,—তাহার কোন সন্দেহ নাই। তাহদের সংখ্যা অতিশয় অধিক হওযার জন্যই জাপানিগণ তাহদের এ যুদ্ধের হােত আহতের সংখ্যা প্রচার করেন নাই। জেনাবেল ষ্টসেল বলেন, এই তিন দিনেব যুদ্ধে তাহাব ১৫০০ দেড় হাজার সেনা ও ৪০ জন সেনাধ্যক্ষ হত আহত হইয়াছেন ! জাপানিগণ নিশ্চয়ই বহু সহস্ৰ সেনা হারাইয়াছিলেন ;-এ যুদ্ধে তাহদের যত সেনা হত ও আহত হইয়াছিল, এ পৰ্য্যন্ত আব্ব কোন যুদ্ধে তাহা হয় নাই। জাপানিগণ এত প্ৰাণ দিয়া এই পাহাড়টী দখল কবিলেন কেন তাহাব বিশেষ কারণ ছিল। এই পাহাড় হইতে বন্দবে গোলা পতিত হইতে আরম্ভ হইলে, রুষ-জাহাজ সকল বাহির সমুদ্রে যাইতে বাধ্য হুইবে,-তখন টোগো তাহাদিগকে অবাধে গভীব সমুদ্রগর্ভে প্রেরণ করিবেন। এই পাহাড় হারাইয়া রুষগণ প্ৰায় অৰ্দ্ধেক পোট আর্থার হারাইলেন। তঁহারা আর যে অধিক দিন এ দুর্গ বক্ষা কবিতে পরিবেন। তাহা বলা যায় না ! তবে দুর্গ রক্ষাবি জন্য রুষগণ যে বীবত্ব প্ৰদৰ্শন করিতেছেন, তাহাতে তঁহাদের সমুচিত প্ৰশংসা না কবিয়া থাকিতে পারা যায় না । সেনাপতি ষ্টাসেলেবও বিশেষ প্ৰশংসা কবিতে হয় । এক্ষণে আড়ামিরাল ভিটোভ রুষ-নৌসেনাপতি হইয়াছিলেন,- তিনিও বিশেষ বিচক্ষণতা ও কাৰ্য্যতৎপরতা দেখাইতেছেন ! ভগ্নপ্ৰায় যুদ্ধপোতগুলিকে আবার এত শীঘ্ৰ কাৰ্য্যক্ষম করাই একটা মহাকাৰ্য্য ! ২৬শে জুলাই রুষের চারিখানি ক্রুজার জাহাজ ও কতকগুলি গানবোট বন্দর হইতে বাহির হইয়া স্থলস্থিত জাপানিগণের উপর গোলা চালাইতে Nò :