পাতা:রুষ-জাপানি যুদ্ধের ইতিহাস - নলিনীবালা ভঞ্জ চৌধুরাণী.pdf/২৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রুষ-যুদ্ধপোত ধ্বংস । RN9y মাস্তুলে তুলিয়া দিয়া প্রচার করা হইয়া থাকে। মনে করুন, লাল নিশান ‘এ’, সাদা নিশান ‘বি’ ; এইরূপ ‘এ’ হইতে “জেড” পৰ্য্যন্ত ২৬টিী অক্ষরের জন্য ২৬টিী বিভিন্ন নিশান । এই নিশান একের পাশ্বে আর একটী বসাইয়া এক জাহাজ হইতে অপর জাহাজে বেশ সহজে কথোপকথন চলিতে পারে। ভুডিভস্টকে যাইবার আজ্ঞা পাইয়া রুষগণ মহানন্দে সকলে সেই দিকে চলিল । দুই প্ৰহরের সময জাপানী যুদ্ধপোত সকল দৃষ্টিগোচৰ হইল ! তিনদিলে জাপানী জাহাজ রুষ-জাহাজেব দিকে আসিতেছে । প্ৰথম দলে পাচ খান ব্যাটেলসিপ ও দুই খান ক্রুজার জাহাজ আছে,- এই দলের মিকাসা জাহাজে আডমিবাল টোগোর নিশান উড়িতেছে। দ্বিতীয় দলে ৪ খানি ক্রুজাব জাহাজ ;-তৃতীয় দলে পাঁচ খানি ক্রুজার জাহাজ, এক খানা ব্যাটেলসিপ ও ৩০ খানি টাবপেডো জাহাজ ছিল। ক্রমে উভয পক্ষোিব জাহাজ নিকটস্থ হইয়া আসিল । তখন উভয় পক্ষই যুদ্ধের পতাকা উডতীয়মান করিলেন। পূৰ্ব্বে দুইবার টোগো যুদ্ধ-পতাকা উ৬ঙী৭৭iন বা রিয়ছিলেন,-কিন্তু দুই বাবই রুষগণ পলাই যাছিল,-কিন্তু এবাব তিনি তাহাদেব কিছুতেই পলাইতে দিবেন না। সাড়ে বারটাব সময় তিনি যুদ্ধেব আজ্ঞা প্ৰদান করিলেন । ১টাব সময় উভয পক্ষে যুদ্ধ আবিস্ত হইল । এ মহা-জলযুদ্ধেব। আমরা কিরূপে বর্ণনা করিব। উভয় পক্ষের ব্যাটেলসিপ একের পশ্চাতে আব্ব এক খানি, এইরূপ লাইনবন্দি হইয়া চলিয়াছে,-উভয় পক্ষ হইতেই ঘোব বেগে বৃহৎ গোলা সকল নিক্ষিপ্ত হইতেছে। রুষের লক্ষ্য ঠিক নাই,--তাহাদের গোলা চলনশীল জাপানী জাহাজে আঘাত করিতে পারিতেছে না । কিন্তু জাপানী লক্ষ্য অব্যর্থ-গোলার উপর গোলা আসিয়া রুষ-জাহাজে পড়িতেছে- সে এক ভীষণ ব্যাপার !