পাতা:রুষ-জাপানি যুদ্ধের ইতিহাস - নলিনীবালা ভঞ্জ চৌধুরাণী.pdf/২৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R89 রুষ-জাপান যুদ্ধের ইতিহাস । ১০টার সময় জাপানিগণ আবার দুই ক্লাষ-জাহাজকে ভীষণ রূপে আক্রমণ করিল,-উভয় পক্ষে আবার গোলাবৃষ্টি হইতে লাগিল। তখন রুষ বেগে, -আরও বেগে ছুটিল ! তাহাবা ভাবিয়াছিল যে তাহদেরও রুরিকের অবস্থা হইবে,-কিন্তু সহসা কামিমুৱা তাহদের অনুসরণ পরিত্যাগ করিয়া নিজ জাহাজ সকল ঘুরাইয়া রুরিকের দিকে চলিলেন। রুষগণ হাপ ছাড়িয়া ভুডিভস্টকের দিকে চলিয়া গেল! কামিমুৱা এইরূপে কাষ-জাহাজদ্বয়কে পলায়ন করিতে দেওয়ায়, লোকের নিকট তাহাকে অনেক গালি গালাজ খাইতে হইয়াছিল, কিন্তু বিশেষ কারণ না থাকিলে, তাহার ন্যায় বিচক্ষণ নৌ-সেনাপতি কখনই এরূপ কবিতেন না। এক দিকে তাহাৰ ক্রুজার জাহাজ রুষের দুইখানা বৃহৎ ব্যাটেলসিপকে যে জলমগ্ন করিতে পাবিত,-তাহ বলিয়া বোধ হয় না । অপর দিকে রুরিক পলাইলেও পলাইতে পারে,-এ অবস্থায় তাহাকে আক্রমণ করাই কৰ্ত্তব্য ; হয়তো তিনি আডমিরাল উবিউর তাবশূন্য টেলিগ্ৰাফ পাইয়াই ফিরিতে বাধ্য হইয়াছিলেন । যাহাই হউক ভগ্নদেহে রোসিয়া ও গ্রামবই কোন গতিকে ভুডিভস্টকে উপস্থিত হইয়া প্ৰাণ বাক্ষা করিল। রুরিক জাহাজ প্ৰাণপণে যুদ্ধ কবিতেছিল, কিন্তু তাহার। আর ইহলীলা শেষ হইবার বিলম্ব ছিল না । একেতো তাহার চারিদিকে ধুধু কবিয়া আগুন জ্বলিয়া উঠিয়াছে, তাহার উপর সে ধীরে ধীরে ডুবিতেছিল। রুষ-সেনাগণ তাহদের আহতগণকে কাটের তক্তায় শোয়াইয়া যত্নে সমুদ্রে ভাসাইয়া দিতেছিল,—হয়তো তাহারা ভাসিতে ভাসিতে তীরে উপস্থিত হইতে পারিবে! শেষ পৰ্য্যন্ত রুরিকের কামান গজিল,-পরে সে জলমগ্ন হইয়া গেল ! তাহার পর এক অভূতপূৰ্ব্ব দৃশ্য দৃষ্টিগোচর হইল! যে জাপানী একটু পুর্বে অজস্ৰ গোল চালাইয়া রুষগণকে হত্যা করিবার জন্য প্ৰাণপণ চেষ্টা পাইতেছিল, তাহারাই আবার এক্ষণে সমুদ্রে ভাসমান হতভাগ্য