পাতা:রুষ-জাপানি যুদ্ধের ইতিহাস - নলিনীবালা ভঞ্জ চৌধুরাণী.pdf/২৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিদেশী বন্দরে। S8 রুষগণের প্রাণরক্ষার জন্য ব্যাকুল হইল। তাহদের দুই জাহাজ হইতেই নৌকা লইয়া তাহারা সমুদ্রস্থিতৃ রুষগণকে নৌকায় তুলিতে লাগিল। এই সময়ে কামিমুরার জাহাজ চারিখানি আসিয়াও উপস্থিত হইল। সেই সকল জাহাজ হইতেও কয়েকখানি নৌকা তৎক্ষণাৎ এই মহৎ কাৰ্য্যে ছুটিল। তাহারা সর্বসমেত ১৬ জন সেনাধ্যক্ষ, একজন পুরোহিত, চারিজন রাজকৰ্ম্মচারী ও ৫৯২ জন নাবিকের প্রাণরক্ষা করিল। এ অতি অপূৰ্ব্ব দৃশ্য ! এই সকল রুষগণই একদিন হিতাচু মারুকে জলমগ্ন করিয়া চলিয়া গিয়াছিল,-সেই জাহাজেব এক জনেরও প্রাণরক্ষা করিবার চেষ্টা রুষগণ করে নাই,-আব আজ জাপানী বীরগণ তাহদেরই প্রাণরক্ষা করিলেন । একজন জাপানী সেই সময়ে বলিয়াছিলেন, “জাপান হিতাচু মারুব জলমগ্ন করিবার প্রতিহিংসা এতদিনে গ্ৰহণ করিলেন । আমাদের মৃতের পবিবৰ্ত্তে আমবা তাহদের জীবিতগণকে বৰুষকে উপহার দিতেছি ।” এ কথা শুনিয়া নিশ্চয়ই রুষ লজ্জায় মরমে মবিয়া গিয়াছিলেন। একদিকে রাক্ষসী নিষ্ঠুবতা,-অপবদিকে স্বগীয় মহানুভবতা ! কে অধিক সভ্য ! রুষ না ক্ষুদ্র জাপান ! পঞ্চাশাৎ পরিচ্ছেদ । বিদেশী বন্দরে । আমরা পুর্বেই বলিয়াছি, কয়েকখানি রুষ-রণপোত বিভিন্ন বন্দরে আশ্রয় লইয়াছিল। ইহার মধ্যে একখানি চীনের চিফু বন্দরে আশ্ৰয় লইয়াছিল ! জাপানিগণ বলেন যে এই জাহাজে রুষের যুদ্ধ সংক্রান্ত অনেক কাগজ পত্র ছিল । এতদ্ব্যতীত কয়েকজন উচ্চ রাজ কৰ্ম্মচারী ছদ্মবেশে জাহাজে ছিলেন,-তাহাই জাপানী দুইখানি ডেসট্রিয়ার তাহাকে ধরিবার জন্য চিফু বন্দরের মুখে আসিয়া নজর করিল।