পাতা:রুষ-জাপানি যুদ্ধের ইতিহাস - নলিনীবালা ভঞ্জ চৌধুরাণী.pdf/২৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিদেশী বন্দরে । SRCS) আমরা পূর্বে বলিয়াছি, রুষের জারউইচ ব্যাটেলসিপ ও তিনখানি ডেসট্রিয়ার জাৰ্ম্মানির কাইচে বন্দরে আশ্রয় লইয়াছিল ;-জাৰ্ম্মাণ-সম্রাট এ সংবাদ পাইবা মাত্র জাহাজগুলিকে নিরস্ত্ৰ কুরিতে আজ্ঞা দিলেন। জাৰ্ম্মাণ শাসনকৰ্ত্তা জাহাজ নিরস্ত্ৰ করিলেন-রুষসেনা ও নাবিকগণ যুদ্ধের শেষ পৰ্য্যন্ত আটক রহিল। ১৫ই আগষ্ট একজন জাপানী আড়ামিরাল কাইচোয় আগমন করিয়া সকল দেখিয়া গেলেন । জাৰ্ম্মানগণ তঁহার যথা বিহিত সন্মান প্ৰদৰ্শন করিলেন । রুষের যে দুইখানা জাহাজ সাংহাই বন্দরে আশ্রয় লইয়াছিল, তাহারা কিছুতেই নিরস্ত্ৰ হইতে চাহে না । এই দুই জাহাজ লইয়া রুষ, জাপান ও চীন, তিন রাজ্যে মহা তর্ক বিতর্ক চলিল। এমন কি চীনের সহিত যুদ্ধ হইবার সম্ভাবনা ঘটিল। এরূপ হইলে ইয়োরোপের অন্যান্য জাতিব এই মহাযুদ্ধে জড়িত হইয়া পড়িবার সম্ভাবনা । এইরূপ তর্ক বিতর্কে দশদিন কাটিয়া গেল। তখন সকলেই বুঝিলেন যে রুষ ন্যায় বাক্য না শুনিলে জাপানিগণ বল প্ৰয়োগে জাহাজ অধিকার করিয়া লইবে । ইহা বুঝিয়া রুষ-সম্রাট অনতিবিলম্বে জাহাজ দুই খানিকে নিরস্ত্ৰ করিবাব আজ্ঞা দিলেন । রুষের ভাবিয়াগ ও কোরিজ জাহাজের সেনাগণ রুষিয়ায় গিয়া আবাব যুদ্ধপোতে যোগ দিয়াছে’-এই জন্য জাপান এই দুই জাহাজের সেনা ও নাবিকগণ যাহাতে রুধিয়ায় যাইতে না পারে, সে বিষয়ে জেদ্দাজিদি আরম্ভ করিলেন । তঁহাদেরই জেদ বজায় রহিল ;-রুষগণ চীনের বিভিন্ন বন্দরে আটক রহিল । রুষের একখানা জাহাজ ফরাসী বন্দর সাইগণে আশ্রয় লইয়াছিল । এ জাহাজও নানা ছলে নিরস্ত্ৰ হইতে বিলম্ব করিতে লাগিল। কিন্তু অবশেষে ফরাসি গভর্ণমেণ্ট ইহাকেও নিরস্ত্ৰ হইতে বাধ্য করিলেন । এইরূপে এক দিনের যুদ্ধে রুষগণকে বহু জাহাজ হারাইতে হইল। যে কয়খানি পোর্ট আর্থীয়ে ফিরিয়াছে, তাহদের আর কিছু নাই বলিলে