পাতা:রুষ-জাপানি যুদ্ধের ইতিহাস - নলিনীবালা ভঞ্জ চৌধুরাণী.pdf/২৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিদেশী বন্দরে । RG-9 যে তাহদের সকলের গলার স্বর বন্ধ হইয়া গেল। তখন তঁাহারা জাহাজের গায় খড়িতে লিখিয়া আজ্ঞা প্রচার করিতে লাগিলেন। পাচটাব মধ্যেই নভিকের তলায় জলের নিয়ে তিনটী ছিদ্র হইল,-জাহাজ খণ্ড বিখণ্ডিত হইয়া গেল। তজ্জন্য কাপ্তেন যুদ্ধে ভঙ্গ দিয়া বন্দরেব দিকে ছুটলেন। জাপানী জাহাজও জখম হুইযাছিল। তাহার। আর রুষ-জাহাজ তাড়া করিয়া যাইবার উপায় ছিল না,-এজন্য সেনাপতি অপর জাপানী জাহাজকে পুনঃ পুনঃ আসিবাব জন্য তারশূন্য টেলিগ্ৰাফ করিতে লাগিলেন। কিন্তু এ অবস্থায়ও রুষগণ এই সকল জাপানী সংবাদ ধবিয়া লইতে লাগিল,- তজন্য বহুক্ষণ জাপানী জাহাজ কোন সংবাদ পাইল না ; অবশেষে সে ংবাদ পাইবা মাত্র বন্দবোব দিকে ছুটিল। এ অবস্থায় আর যুদ্ধ চলে না, সুতরাং রুষ-কাপ্তেন নাভিককে পরিত্যাগ কবিতে বাধ্য হইলেন। তিনি তাহাকে অল্প জলে লইয়া গিয়া ডুবাইয়া দিলেন,-তৎপবে সকলে তীরে নামিলেন। পাবদিন প্ৰাতে জাপানী যুদ্ধপোত বন্দরে প্রবেশ করিল। জাপানিগণ দেখিলেন,-বন্দবে জনমানব নাই,-সকলেই জাপানী গোলার ভয়ে সহর ছাড়িয়া পলাইয়াছে। -- নাভিক জাহাজ অৰ্দ্ধ-জলমগ্ন হইয়া পড়িয়া আছে। জাপানী জাহাজ এই জনশূন্য জাহাজে এক ঘণ্টা ধরিয়া গোলা চালাইলেন। ইহা মৃতের উপব খড়গাঘাত ; কিন্তু পাছে ভবিষ্যতে রুষ এই জাহাজ কাৰ্য্যক্ষম করিতে পারেন, এই ভয়ে জাপানিগণ তাহাকে সম্পূর্ণরূপে ভগ্ন করিতে বাধ্য হইলেন । এইরূপে রুষের সমস্ত যুদ্ধপোন্তই এতদিনে নষ্ট হইয়া গেল। রুষ জাপান-সমুদ্রে একাধিপতি ছিলেন, এখন জাপান তাহাকে নগন্য করিল।