পাতা:রুষ-জাপানি যুদ্ধের ইতিহাস - নলিনীবালা ভঞ্জ চৌধুরাণী.pdf/৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Yby রুষ-জাপান যুদ্ধের ইতিহাস । অধিকক্ষণ রহিল না। ৯টার সময় দূরে তিন খানি জাপানী জাহাজ দৃষ্টি গোচর হইল ;-সকলের মাস্তুলেই সাহঙ্কারে জাপানের চিব খ্যাত প্ৰাতঃসূৰ্য্য অঙ্কিত পতাকা উড়িতেছে! প্ৰায় দুই ঘণ্টা ইহারা অতি দূরে থাকিয়া রুষ যুদ্ধপোতের কি অবস্থা হইয়াছে, তাহাই পৰ্য্যবেক্ষণ করিতে লাগিল। রুষগণের গোলা তাহদেব নিকট উপস্থিত হইবাব সম্ভাবনা ছিল না, তজ্জন্য করুষগণ অনর্থক গোল চালাইল না ; তাহাবা তাহদের ছিন্ন ভিন্ন চুর্ণ বিচুর্ণ জাহাজ গুলি মেবামত করিয়া কাৰ্যক্ষম কবিবাব চেষ্টা পাইতে লাগিল। তখনও রুষ বন্দবে। বহুতর রুষ যুদ্ধপোত যুদ্ধক্ষম ছিল,-সুতবাং তখনও তাহাবা একেবারে হতাশ হয় নাই। এই সময়ে ঠিক বেলা ১১টাব সময় ১৬ খানি জাপানী যুদ্ধতরী ধীবে ধীরে পোর্ট আর্থব বন্দবের দিকে “যুদ্ধ সজ্জায় আসিতে লাগিল ;- সে দৃশ্যোব বর্ণনা হয় না ! জাপানেব পবাক্ৰান্ত নূতন নিৰ্ম্মিত যুদ্ধপোত মিকাসা, হাটমুসী, আসাহি, সিকিসেমা, সাসিম এবং ফুজি পৃথিবীব কোন জাতিব যুদ্ধ তবীব অপেক্ষা হীন ছিল না। ইহাদের সহিত যে সকল দ্রুতগামী ক্ষুদ্র যুদ্ধপোত ছিল, তাহাও অতুলনীয়। এই বিশাল বাহিনীর সেনাপতি ছিলেন স্বয়ং আডুমিবাল টোগো । ইনি জাপানের নেলসন বলিয়া জগত খ্যাত হইয়াছেন। র্তাহব। সহকারী ছিলেন,-আডমিরাল কামিমুৱা । উভয়েই বহু বৎসর বিলাতে আধুনিক যুদ্ধ বিদ্যার সকল প্রকরণ শিক্ষা করিয়া আসিয়াছিলেন। তাহারা ইহাতে কতদূর সুদক্ষ হইয়াছিলেন, এই মহাযুদ্ধই তাহার প্রমাণ। সাড়ে ১১টার সময় ঘোরতব যুদ্ধ আবম্ভ হইল। এরূপ যুদ্ধ উনবিংশ শতাব্দীতে আর হয় নাই। পোর্ট আর্থার দুর্গ রুষগণ সহস্ৰ সহস্র ভয়াবহ কামানে সজ্জিত করিয়াছিলেন;- এই সকল কামান হইতে যে সকল ভয়ঙ্কর গোল উদগীরিত হইত, তাহার মুখে কিছুরই রক্ষা পাইবার সম্ভাবনা ছিল না । তাছার উপর এই সকল গোলার ভিতর পিক্‌রিক এসিড ও মেলি