পাতা:রুষ-জাপানি যুদ্ধের ইতিহাস - নলিনীবালা ভঞ্জ চৌধুরাণী.pdf/৩২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SSR রুষ-জাপান যুদ্ধের ইতিহাস । তাহাদেব অধিকৃত হইয়াছে ;-নিউচেং হইতে লিওযাং পৰ্য্যন্ত সুন্দব রাস্তা ছিল,—এক্ষণে তাহদেব রসদ ও সেনাপূর্ণ জাহাজ সকল নিউচেংএ আসিতে লাগিল। সেই সকল রসদ প্ৰভৃতি সহস্ৰ সহস্ৰ কুলিতে লিওযাংয়ে লইয়া জমা করিতে লাগিল । রুষ-সেনাপতিগণ স্ব স্ব সুখ সচ্ছন্দতা লইয়াই ব্যস্ত ছিলেন ; রুষগণ সাধাবণ সেনাব সুখ সচ্ছন্দতাব দিকে আদৌ দৃষ্টিপাত করিতেন না। কিন্তু জাপান এ সম্বন্ধে বিশেষ যত্ন লইতেছিলেন। যুদ্ধক্ষেত্রে কখনই গৃহেব ন্যায় সুখ সচ্ছন্দতা হইতে পারে না,-কিন্তু যতদূব হইতে পারে, সে সম্বন্ধে জাপান বিশেষ সুবন্দোবস্ত করিলেন । জাপ-সেনাব আহাবেব কষ্ট ছিল না। তাহাদেব পশ্চাতে শত শত লোক রন্ধনে নিযক্ত,-সেনাগণ সুবিধা পাইলেই পেট ভবিয়া ভাল ভাল খাদ্যাদি। আহাব কবিতেছে। যাহারা পীড়িত ও আহত হইতেছে, হাসপাতালে তাহদের অতিশয় যত্ন হইতেছোঁ ! আহতেব মধ্যে অধিকাংশই পুনবায় সবল ও সুস্থ হইয়া যুদ্ধক্ষেত্রে পুনবায় যুদ্ধ করিবার জন্য যাইতেছে। জাপানী আহতেব অধিকাংশই বঁাচিয়া গিয়াছে,-কিন্তু কষেবা ভাগ্যে তাহা ঘটে নাই । তাহাদেব মৃত্যু সংখ্যা অতিশয় অধিক ! তবে উভয় পক্ষেব সেনাগণই যুদ্ধে পবমোৎসাহিত-উভয় পক্ষই কষ্টকে কষ্ট জ্ঞান করিতেছিলেন না। দৃষ্টান্ত স্বৰূপ আমবা নিয়ে দুই পক্ষেব সাধাবণ সেনার দুই খানি পত্ৰ অনুবাদ কবিয়া দিতেছি। ইহাতেই সকলে দেখিবেন যে কি রুষ, কি জাপান—উভয় সেনাই বীরত্বে পূর্ণ ! হাকাইডোট, ৫ই আগষ্ট, ১৯০৪ ৷৷ যুদ্ধ আরম্ভ হইবার দিন হইতে আমরা যুদ্ধে যাইবার জন্য ব্যগ্ৰ হইয়াছিলাম, কিন্তু এতদিন আমরা আজ্ঞা পাই নাই,-আজ ৫ই তারিখে আমাদের যুদ্ধ-যাত্রার আজ্ঞা হইয়াছে। সৌভাগ্যক্রমে আমি এক পদাতিক দলে পড়িয়াছি। ১২ দিনের মধ্যেই আমবা যুদ্ধ-ক্ষেত্রে যাত্ৰা