পাতা:রুষ-জাপানি যুদ্ধের ইতিহাস - নলিনীবালা ভঞ্জ চৌধুরাণী.pdf/৩৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 রুষ-জাপান যুদ্ধের ইতিহাস । ১৪ই তারিখেও যুদ্ধ চলিল,-কিন্তু তখন পশ্চাৎ হইতে রুষ-সেনা মুক্‌ডেনের পথ ধরিয়াছে। ১৫ই ঐরূপ যুদ্ধ চলিতে লাগিল—জাপানিগণ অগ্রসর হইতেছে,-রুষগণ পশ্চাৎপদ হইতেছে। ১৫ই সন্ধ্যাকালে সাহে যুদ্ধ শেষ হইল,-জাপানেরই আবার জয়-পতাকা উড়িল,-কিন্তু এবারও জাপানিগণ কুরোপাটুকিনকে ঘেরাও করিতে পারিল না। ;-পারিলে আর ভবিষ্যতে ভীষণ যুদ্ধ করিতে হইত না। এই লোমহর্ষণ ব্যাপারেব বিস্তৃত বিবরণ অসম্ভব । সমস্ত সাহো নদীর জল মনুষ্য রক্তে লাল হইয়া গিয়াছিল বলিলেই বোধ হয়, এ ভয়ঙ্কর ব্যাপাবেব কিয়াৎ ভােব উপলব্ধি হইবে । একদিন একজন আহত রুষ-সেনাধ্যক্ষ কয়েকজন সেনা লইয়া সেনাপতিব সম্মুখে হাজির হইলেন। ইহা দেখিয়া সেনাপতি ক্ৰোধে গৰ্জিয়া বলিলেন, “কোন সাহসে তুমি এ সময়ে তোমার রেজিমেণ্ট (এক হাজাব সেনাব একটী দল) ছাড়িয়া আসিয়াছ ? এখনই ফিরিয়া যাও ;-কোথায় তোমাব বেজিমেণ্ট ?” তিনি সেই কয়েকটিী আহত সেনা দেখাইয়া বলিলেন, “মহাশয় । এই আমাব রেজিমেণ্ট,-আর সকলই গিয়াছে।” একদল রুষ-সেনা বন্দুক ফেলিয়া দিয়া জাপানিদিগেব সহিত হাতাহাতি যুদ্ধ করিতে লাগিল। উভয় দলই উন্মাদ,-উভয় দলের একজনেরও প্ৰাণ রক্ষা হইল না । আর একস্থানে একজন রুষ-সেনাধ্যক্ষ তাহার রেজিমেণ্টের অবশিষ্ট কয়েকজন সহ কতকগুলি জাপানিদিগের মধ্যে আসিয়া পড়িলেন। জাপগণের গুলি ফুরাইয়া গিয়াছিল,—তাহারা, পাথর, ঘুসি, বেয়নেটযাহাতে সুবিধা পাইল তাহাই লইয়া লড়িতে লাগিল । একদিন স্বয়ং কুরোপাটুকিনি অশ্বারোহণে একদল সেনা লইয়া জাপানিগণকে আক্রমণ করিলেন,-উভয় পক্ষেরই বীরত্ব অতুলনীয় ও বিস্ময়কর!,