পাতা:রুষ-জাপানি যুদ্ধের ইতিহাস - নলিনীবালা ভঞ্জ চৌধুরাণী.pdf/৩৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Crbፖ” রুষ-জাপান যুদ্ধের ইতিহাস । নামাইবার চেষ্টা পাইলাম, কিন্তু দেখিলাম গোলায় জাহাজের সে দিক একেবাবে উড়িয়া গিয়াছে!! ফিরিয়া আসিয়া দেখি আমাদের ইঞ্জিনিয়ার পড়িয়া আছেন—তাহার মাথার উপর ভাগ উড়িয়া গিয়াছে! আমাদের কাপ্তেন দেখি ডেকের উপর। পড়িয়া আছেন,-তাহার মাথা নাই ! আমাদের আরও একজনের মুখের সন্মুখভাগ উড়িয়া গিয়াছে ! আর একখানা জাহাজ হইতে একখানা নৌকা সত্বর গিয়া “ক্রেনের” দুই মৃতদেহ ও আহতগণকে লইয়া আসিল। তৎপরেই “ক্রেন” অদৃশ্য হইয়া গেল ! কি নির্দয় লোমহর্ষণ কাণ্ড কবিয়াছে, রুষ-জাহাজ তাহা ফিরিয়াও দেখিল না । ২৩ শে অক্টোবর ধীবরগণ তাহদেব হত ও আহতগণ লইয়া হালে প্ৰত্যাগত হইল। তাহদের জাহাজে কোন দুর্ঘটনা ঘটিলে, তাহারা জাহাজের মাস্তুলের পতাকা নামাইয়া মধ্যে উড়াইয়া দিত। আজ তাতাদের মাস্তুলে এই শোক চিকু দেখিয়া, হালবাসিগণ সকলে সমুদ্র তীরে ছুটিল। যখন তাহারা শুনিল যে রুষগণ তাহদের নিরপরাধ, ধীবরগণের উপর গোলা চালাইয়াছে, তখন তাহারা ক্ৰোধে গৰ্জিতে লাগিল । যখন তাহার কাপ্তেনের মস্তক শূন্য দেহ দেখিল, তখন তাহারা সম্পূর্ণ উন্মত্ত হইয়া উঠিল। পরদিন সমস্ত গ্রেট ব্রিটেনের প্রত্যেক সংবাদ পত্রে এই ভীষণ সংবাদ প্ৰচাবিত হইল। সমস্ত ইংবাজ জাতি রুষের এই ঘোর অন্যায় কাৰ্য্যের জন্য অতিশয় ক্ষিপ্ত হইয়া উঠিলেন। ইংরাজ-রাজমন্ত্রীগণ তৎক্ষণাৎ প্রচার করিলেন, “আমরা রুফু-রাজকে এ সংবাদ পঠাইয়াছি। ইহার শীঘ্র একটা মীমাংসা করিতে তাহারা তিল মাত্র বিলম্ব করিবেন না।” স্বয়ং স্বপ্তেম এডওয়ার্ড ও মহারাণী দুঃখ প্ৰকাশ করিয়া ধীবরগণকে পত্র লিখিলেন এবং হত ও আহতগণের স্ত্রী ও অন্যান্ত পরিবারের সাহায্যে ৪৫০০ টাকা পাঠাইয়া দিলেন । ২৫ শে অক্টোবর ইংরাজ গভৰ্ণমেণ্ট রুষরাজকে এক পত্র লিখিলেন ।