পাতা:রুষ-জাপানি যুদ্ধের ইতিহাস - নলিনীবালা ভঞ্জ চৌধুরাণী.pdf/৩৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

MNR রুষ-জাপান যুদ্ধের ইতিহাস। দূত বলিলেন, “রুষ-সেনাপতি বে কথা বলিতেছেন, তাহা সম্পূর্ণ হাতজনক ! জাপানী টরপেডো বোট কখনই গোপনে এতদূরে আসিতে পারে না! জাপান হইতে উত্তর সমুদ্রে আসিতে কত কাল লাগে,-এতকাল যদি তাহারা পৃথিবীর কোন বন্দরে না যায়, তাহা হইলে তাহারা কয়লা ও খাদ্যাদি কোথায় পাইবে ?” এ ন্যায়সঙ্গত কথা বোধ হয়। রুষ-বুদ্ধি স্পর্শ করিল না। সে যাহা হউক, এক্ষণে রুষগণ যে জাপানিদিগেব ভয়ে হাস্যজনক রূপে অধীর হইয়া পড়িয়াছিলেন, সে বিষয়ে আর কোন সন্দেহ নাই। এই সময়ে এই রাত্রে রুষ-যুদ্ধপোতে কি হইয়াছিল, তাহার কতক বিববণ একজন রুষ-জাহাজের ভূত্য দিয়াছিল, তাহা এই :- “উত্তর সমুদ্রে যে দিন শত্রু আক্রমণ করে সে দিন রাত্রে আমি জাহাজেব রন্ধনশালায় বাসন সকল ধুইতেছিলাম। আমার এখানকাব কাজ শেষ হইলে, আমি সেনাধ্যক্ষগণের ভোজন গৃহে গিয়া দেখিলাম যে ছয়জন সেনাধ্যক্ষ বসিয়া তাস খেলিতেছেন। এই সময়ে একজন ছুটয়া আসিয়া হঁপাইতে হঁপাইতে বলিল, “জাপানীরা আমাদেব উপর পড়িয়াছে!” আমনই সকলে ছুটিয়া জাহাজেব উপব চলিলেন ;-আমি নিমেই রহিলাম। একটু পবে একজন লোক আমার নিকট আসিয়া বলিল যে একজন সৈন্তাধ্যক্ষ দুই গেলাস মদ চাহিতেছেন। আমি মন্দ লইয়া ডেকে উঠিয়াছি, আমনই * * গোলাব আওয়াজ পাইলাম। ডেকের উপব সমস্ত লোক মুখ গুজড়িয়া শুইয়া পড়িয়াছে। সেনাধ্যক্ষগণ সকলেই কিছু না কিছু আবরণের অন্তবালে লুক্কায়িত হইয়াছেন। আমার এই সকল দেখিয়া বড়ই ভয় হইল। কারণ সেনাধ্যক্ষগণ সকলেই অতিশয় বিচলিত হইয়া সকলে এক সঙ্গে উচ্চৈঃস্বাবে কথা কহিতেছিলেন । একজন সেনানী তাহার মস্তকের উপর তাহার তরবারি ঘুৱাইতে ঘুবাইতে চীৎকার করিয়া বলিতেছেন, 'ਚ ਜੈ-ਜੈ !