পাতা:রুষ-জাপানি যুদ্ধের ইতিহাস - নলিনীবালা ভঞ্জ চৌধুরাণী.pdf/৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যুদ্ধের পর । RGł কৰ্ম্মচারিগণ সকলকে সম্বোধন করিয়া বলিলেন, “আপনারা একটু অপেক্ষা করুন,-আপনাদের গাড়ী এখনই যাইবে।” সকলে সবিয়া দাড়াইলেন।-পর মুহুর্তেই এক দল জাপানী সেনা নীরবে ষ্টেসনে প্ৰবেশ কবিয়া এঞ্জিন পৰ্যন্ত গিয়া দাড়াইল । সেনাপতিগণ আজ্ঞা প্ৰচাব করিলেন ;-সৈন্যগণ নিমেষে সকলে গাড়ীতে প্ৰবেশ করিল !-কোন গাড়ীতে আব্ব তিলাৰ্দ্ধ স্থান নাই ; গার্ড বংশীনিনাদ কবিলেন, গাড়ী চলিয়া আৰ্ত্তনাদ নাই,-সকলই নীরব নিস্তব্ধ। সকলেই যেন একটা প্ৰকাণ্ড কল! দুই মিনিট যাইতে না যাইতে যাত্রী লইয়া নিয়মিত গাড়ীও যথা স্থানে যাত্ৰ কবিল।” এইরূপ সর্বত্র ও সৰ্ব্ব বিষয়ে ;-কোন স্থানে বিন্দুমাত্র কোন গোল নাই,-অভাব নাই,-হাক হঁকি ডাকা ডাকি নাই! বহু বৎসর পুর্ব হইতে জাপান এ মহাযুদ্ধ অপবিহাৰ্য্য জানিয়া, সৰ্ব্ব বিষয়ে প্রস্তুত হইয়াছিলেন। জাপানে পদস্থ সেনাপতিগণ পৰ্যন্ত চীনে কুলি সাজিয়া রাষেব সমস্ত সংবাদ সংগ্ৰহ কবিয়াছিলেন ;-সুতবাং পোর্ট আর্থার বা অন্য স্থান বা কাষ সম্বন্ধে তঁহাদের কিছুই অবিদিত ছিল না। তঁাহাবা এই মহাযুদ্ধের জন্য কিরূপ সুদক্ষতার সহিত প্ৰস্তুত হইয়াছিলেন, তাহ প্ৰথম দিনেব যুদ্ধেই তাহারা তাহার সম্যক পবিচয় দিয়াছিলেন ;-তােহাঁই ১৯০৪ খৃষ্টাব্দে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে জগত স্তম্ভিত ও বিস্মিত ! তাহাব উপব জুলাপানেব দেশ হিতৈষিতা। জাপানী জননী জন্মভূমি জাপানকে যত উপলবাসে, তত আর কাহাকেই বাসে না। তাহারা কোটী কোটী, কিন্তু তাহারা অতি দরিদ্র!-ক্ষুদ্র কাগজের ঘব তাহদের বাসভুমি ; অহার সামান্য ভাত ও কিঞ্চিৎ মৎস্য । তাহারা ক্ষুদ্র জাতি, কিন্তু তাঙ্কশ্বরী সৌন্দৰ্য্য প্রিয় অতি বুদ্ধিমান জাতি। তাহারা সভ্যতার হিসাবে অসভ্য ছিল না, কিন্তু এসিয়া খণ্ডে তাহারাই প্ৰথম বুঝিয়েছিল